ঘুর্ণিঝড় ও পূর্নিমার কারণে পানির স্তর বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সকাল থেকেই বাগেরহাটে গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় ও পূর্নিমার জোয়ারের কারণে পানির স্তর বেড়ে অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার রাত থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বাতাসও বইছে। এদিকে, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আম্পানে বিধ্বস্ত উপকূলবাসী। বেড়িবাঁধের বাইরে ও কাছে থাকা বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে প্রশাসন। তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য শিশু ও গো-খাদ্যের জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনার আশংকা রয়েছে। উপকূলের শ্যামনগর ও আশাশুনিসহ সমগ্র জেলায় ক্ষতি রোধে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪৫টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১ হাজার ৬৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র । ১১৩টি স্বেচ্ছাসেবক ও শতাধিক মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঝালকাঠিতে । এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম।
জানমালের ক্ষতি কমাতে সব ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল প্রশাসন। স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভাও হয়েছে। এই বিভাগে প্রস্তুত আছে ৩৩ হাজার ৪শ’ স্বেচ্ছাসেবক।সিগন্যাল চার নম্বর হলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য পতাকা উত্তোলন ও মাইকিং করবেন তারা। বরিশালের কীর্তনখোলাসহ আশপাশের এলাকার সব নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন/চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপকূলের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার জেলা ও পৌর প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৫৭৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মজুদ রয়েছে গুড়, মুড়িসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবারও। অন্যদিকে, পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশংকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং চলছে। এছাড়া, জেলা প্রশাসন ও সিপিপি’র প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রস্তুত আছে ভোলার আশ্রয়কেন্দ্র গুলো। ইতোমধ্যে জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কেল্লা তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।