করোনার কারনে গবাদি পশু বিক্রি না হওয়ার আশংকা করছেন খামারিরা
- আপডেট সময় : ০২:০০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
গোপালগঞ্জে ঈদকে সমানে রেখে ৩৪ হাজার গবাদি পশু মোটা-তাজা করেছে খামারিরা। করোনার কারনে এখন বিক্রি না হওয়ার আশংকা করছেন তারা। একই আতঙ্কে রয়েছে ঝিনাইদহের খামারিরা। গো-খাদ্যের চড়া দামে কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের।
গোপালগঞ্জে খামারির সংখ্যা প্রায় সারে চার হাজার। খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যাংক থেকে ঋণ ও দাদন নিয়েও অনেকে পশু পালন করেছে। করোনার প্রভাবে দফায় দফায় পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার তাদের খরচও হয়েছে দ্বিগুন। এখন বিক্রি নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তারা।
ভারতীয় গরু এলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানায়, খামারিরা। হাট ব্যবস্থাপণা সঠিক হলে খামারিরা লাভবান হবে বলে মনে করেন, এই কর্মকর্তা। এদিকে, ঝিনাইদহ সদরের খামারি মোহাম্মদ শাহ আলম গত চার বছর ধরে যুবরাজকে বড় করেছেন। ৫০ মণ ওজনের এই ষাঁড়টির দাম ৩০ লাখ টাকা চাইলেও, বিক্রি করা নিয়েই এখন চিন্তিত তিনি।
একই অবস্থা জেলার অন্যান্য খামারিদেরও। দ্রুত হাট চালু ও সহজ শর্তে ঋণের দাবি জানিয়েছে তারা। প্রাকৃতিকভাবে বড় করা এসব পশু ভালো দামে বিক্রি হবে বলে মনে করেন, প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গরুর হাট চালু হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহে ১২ হাজার ছ’শ ৫৬টি খামার রয়েছে।