গত ৪০ বছরেও কয়েদির মুখ দেখেনি কুষ্টিয়ার খোকসা উপ-কারাগার
- আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
গত ৪০ বছরেও কয়েদির মুখ দেখেনি কুষ্টিয়ার খোকসা উপ-কারাগার। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে কিশোর সংশোধনাগার নির্মাণ প্রস্তাবের পরও কেটে গেছে প্রায় এক যুগ। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড এখন গরু-ছাগলের খামার। দখল হয়ে গেছে স্টাফ কোয়ার্টারও।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা বাসষ্ট্যান্ড থেকে পায়ে হাটা দুরুত্বে থাকা এ ভবনটি দেখলে মনে হবে বসতবাড়ি। কিন্তু, কাছে গেলে বোঝা যাবে এটি কারাগার। আশির দশকে প্রায় ১৩ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় এই উপ-কারাগারটি। সরকার পরিবর্তনের পর ফাইল চাপা পড়ে আছে চল্লিশ বছর ধরে।
ভেতরে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে গরু-ছাগলের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। দরজা- জানালার অবস্থা জরাজীর্ণ। দীর্ঘ এক যুগ ধরে কিশোর সংশোধনাগার করার কথা শোনা গেলেও, তারও কোনো লক্ষণ নেই। দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার আলোচনাও শুনেছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীর্ঘদিন অরক্ষিত থাকার পর, ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির প্রেক্ষিতে কারাগারটির নিয়ন্ত্রন নেয় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়। তাদের এক কর্মচারি পরিবার নিয়ে এখন বসবাস করেন। কারাগারের রক্ষী ও অফিস স্টাফদের জন্য তৈরি করা স্টাফ কোয়ার্টারটিও দখল হয়ে গেছে অনেক আগেই।
এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে মুঠোফোনে জানান, জেল সুপার। চার বছরে অন্তত: ছ’বার চিঠি দিয়েও কিশোর সংশোধনাগার বা শিশু কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে কোনো উত্তর পায়নি বলে জানায় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। উপ-কারাগারটি কিশোর সংশোধনাগার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রুপান্তর হলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনাটি জনকল্যাণে ব্যবহৃত হতো বলে মনে করে স্থানীয়রা।