খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বেশিরভাগ বেড়িবাঁধের অবস্থা জরাজীর্ণ
- আপডেট সময় : ০১:৪১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বেশিরভাগ বেড়িবাঁধের অবস্থা জরাজীর্ণ। মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতেই টেকসই বাঁধ নির্মান হয়নি বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা।বর্ষা মৌসুম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় প্রতিবছরই জলাবদ্ধতা আর ফলসলহানীর শিকার হয় উপকূলের মানুষ।
নিজেদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত করছে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থরা। অথচ, এই বাঁধ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পানি উন্নয় বোর্ডের। এজন্য বছর জুরেই থাকে জরুরি তহবিলসহ বিভিন্ন প্রকল্প।
ঘুর্নিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল ও আম্পানের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকে উপকূলের মানুষ। প্রতিবছর বর্ষাকালে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নি:স্ব হয়ে পড়ে অনেকে। তারা বলছে, জলাবদ্ধতা ও সম্পদহানী থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় টেকসই বেড়িবাঁধ। তাদের অভিযোগ, বাঁধ মেরামতে সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার হয়না।
আম্পানের আঘাতে খুলনার প্রত্যন্ত উপজেলা কয়রায় ১৮ ও সাতক্ষীরার ৭৩টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত হচ্ছে দেখে স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানায় প্রশাসন।
দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি ও ভূমি ক্ষয় হচ্ছে বলে জানান, এই জনপ্রতিনিধি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেড়ীবাঁধের এক’শ কিলোমিটারেরও বেশি। আগামী বর্ষামৌসুমেও টেকসই বাঁধের কাজ শুরু হবেনা।
খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে রয়েছে দুই হাজার ১৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এর মধ্যে দু’শ কিলোমিটার প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সক্ষম নয় বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।