ইট ভাটার কারণে নাব্য হারিয়ে খুলনায় পাল্টে যাচ্ছে বিভিন্ন নদীর গতিপথ
- আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
খুলনায় বিভিন্ন নদীর জায়গা দখল করে চলছে ইট ভাটার রমরমা ব্যবসা। জনবসতি ও কৃষি জমিতেও আইন মেনেই ব্যবসা করছে বলে দাবি ভাটা মালিকদের। অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তর।
ডুমুরিয়া উপজেলার হরি নদীতে ইটভাটার রমরমা ব্যবসা করছে প্রভাবশালীরা। ভদ্র, শৈলমারী ও আতাই নদীর বাম তীরে পাঁচ হাজার ৪৩৩ মিটার দখল করে আছে ২৮টি ইটভাটা। খুলনার ডুমুরিয়া, তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নে রয়েছে এসব ইটভাটা।
ভাটা মালিকরা নদীতে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর বানায়। এসব পুকুরে জমা পলিমাটি দিয়েই ইট তৈরি করছে তারা। এদিকে, পলি পড়ায় নাব্যতা হারাচ্ছে নদী। পাল্টে যাচ্ছে গতিপথ।
হুমকির মুখে পড়ে মরে যাচ্ছে নদী। পানি নিষ্কাশনসহ নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
আইন মেনেই ব্যবসা চলছে বলে দাবি করে ইটভাটা মালিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে, কেউ নদী দখল করে থাকলে, উচ্ছেদ উদ্যোগে সহযোগিতা দেবে তারা।
প্রাথমিকভাবে ৫৪টির তালিকা তৈরি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে দখল করা জমিতে থাকা ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে তারা।
শিগগিরই নদী দখলমুক্ত করা হবে বলে জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তর। স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বলতায় দখলদারিত্ব বেড়ে গেছে বলে মনে করে, নাগরিক নেতারা। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।