খামারীদের প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
- আপডেট সময় : ০২:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
খামারীদের প্রণোদনার টাকা বিকাশ ও নগদে তুলে নিয়েছে ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়স্বজনরাই। কাগজপত্র দিয়েও বেশির ভাগ খামারীই পান নি সরকারের এই সহায়তা। কেবল তাই-ই নয়, রাজশাহীর তালিকায় টাকা তুলেছেন পাবনার মানুষও। যাদের খামার নেই, তারা পেয়েছেন টাকা। কিন্তু প্রকৃত খামারীদেরই ঠাঁই হয় নি তালিকায়। এভাবেই সরকারী অনুদানের টাকা নয়ছয় হয়েছে রাজশাহীর পবা উপজেলায়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার আলীগঞ্জ গ্রামের এই ঘটনা। এভাবে সরকারি প্রণোদনার কত টাকা তছরূপ হয়েছে-তার হিসেব নেই। পবা উপজেলার তালিকায় টাকা পেয়েছেন পাবনা জেলার অনেকেই। আবার তালিকায় নাম থাকলেও টাকা পান নি, এমন সংখ্যাও ঢের।প্রকৃত খামারিদের বাদ দিয়ে পকেট ভারি হয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লোকজন ও তাদের আত্মীয়স্বজনদেরই। অভিযোগ রয়েছে রেজিস্ট্রেশনে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার হলেও মোবাইলফোন নাম্বার পাল্টে এ কাজ করেছেন তারা।
এবার এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে তালিকা বাছাই কমিটির প্রধান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুখোমুখি এসএটিভির ক্যামেরা। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, তিনি কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন না। তবে তালিকায় অনিয়মের প্রমাণ দেখানোর পর তিনি অবশ্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নিজের দপ্তরে ডেকে ঊষ্মা প্রকাশ করেন।এদিকে প্রথমে অভিযোগের বিষয়ে পাত্তাই দেন নি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামও। যদিও পরদিনই সুর পাল্টে যায় তারও।তবে এ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, তিনদফা তালিকা যাচাইয়ের পরও যারা অনিয়মে জড়িয়েছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প-এলডিডিপি’র আওতায় গেল বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামারিদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমধাপে পবা উপজেলায় তিন হাজার ১৫১জন ক্যাটাগরিভেদে সাড়ে চার হাজার টাকা থেকে সাড়ে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন।