কয়েক ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি
- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানীমুখী সব শিল্প-কারখানা আজ খুলে দেয়ায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে কঠোর বিধিনিষেধের মাঝেও মহাসড়ক ও ফেরীঘাটে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। ঢাকা আসার সুবিধায় কয়েক ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। শ্রমিক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন রুটের বাস ও লঞ্চ চলবে। ঢাকামুখী গণপরিবহনের চাপ বাড়তে থাকায় টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদের পর দু’একদিন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ভীড় কিছুটা কম থাকলেও শনিবার থেকে আবারো বেড়েছে। গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা পহেলা আগস্ট থেকে খুলছে এই খবরে সকাল থেকে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বেড়ে যায়। জরুরী যাত্রী, পণ্যবাহী পরিবহণ ও ছোটগাড়ি পারাপারের জন্য কাজ করছে ১০টি ফেরি। অন্যদিকে বাংলাবাজার ঘাটেও পারাপারের অপেক্ষায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
এদিকে, চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথেও। ৬টি ফেরিতে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। কঠোর নিষেধাজ্ঞায় নানা অজুহাতে ছোটগাড়ি ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ঢাকার গন্তব্যে ফিরতে মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারে কয়েকগুণ ভাড়া গুণছেন সবাই।
কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও রাজধানীমুখী পরিবহণের চাপ বেড়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকার দিকে কর্মজীবি মানুষ।
গার্মেন্টসসহ সকল শিল্পকারখানা খোলার খবরে কর্মজীবীরা ফিরছেন ঢাকায়। এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। ফলে কর্মস্থলে ফিরতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এবং পাঁচলিয়া কড্ডার মোড় থেকে পন্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, খুলনা থেকে শ্রমজীবী মানুষেরা নানা উপায়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেই শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।