কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারে তৎপর অসাধু সিন্ডিকেট
- আপডেট সময় : ০২:০০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারে তৎপর অসাধু সিন্ডিকেট। বিপুল সরবরাহের কারণে দাম কম থাকায় এখন মজুদদারি বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এতে ঈদের আগে মসলার বাজারে অস্থিরতার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। আর আমদানীকারকরা বলছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই, তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুচরা বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে প্রশাসনকেই।
কোরবানী ঈদে অন্যতম অনুসঙ্গ বিভিন্ন ধরণের মসলা। প্রতিবছর সারাদেশে যে পরিমান মসলার চাহিদা,তার অন্তত ৬০ ভাগই এই একটি উৎসবকে ঘিরে বেচা-বিক্রি হয়। তাই ঈদ এলেই দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে ওঠে অসাধু পাইকার ও আমদানীকারকদের কয়েকটি সিন্ডিকেট। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। কোরবানীর বাজার ধরতে রোজার শুরুতেই এলসি করেন আমদানীকরকরা। যার অধিকাংশ চালান ইতিমধ্যে খালাসও নিয়েছেন তারা। কাস্টমসের পরিসংখ্যান বলছে, চাহিদার অনেক বেশী পণ্য ছাড় করিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, গরমসলা, এলাচ, লং, দারুচিনিসহ সবধরনের মসলাজাত পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে খাতুনগঞ্জে। করোনার কারনে ক্রেতার আনাগোনা কমায় দামও নিম্নমুখি; বলছেন পাইকাররা। বাজারে মসলার দাম কম থাকার সুযোগে মজুদ বাড়িয়ে কৃত্তিম সংকট তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট। এমন খবরে সম্প্রতি খাতুনগঞ্জে অভিযানও চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম। সিন্ডিকেট করার অভিযোগে ৫টি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও আরো কয়েকজনকে সতর্ক করেছে তারা। তবে আমদানীকরকরা বলছেন ভিন্নকথা। করোনার বাজার অনেকটায় নিয়ন্ত্রণে। সিন্ডিকেটের কারসাজি না হলে কোরবানীর ঈদেও সহনীয় থাকবে মসলার দাম এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা।