কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা ও মাদারীপুরসহ নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে
- আপডেট সময় : ১২:০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা ও মাদারীপুরসহ নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না চরাঞ্চলের মানুষের। বন্যা পরবর্তী সময়ে চরাঞ্চলগুলোতে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন দিন মজুর শ্রেণির মানুষজন। অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িও।
নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে।সকালে খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করলেও ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমে ও তীব্র স্রোতে চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলা, মাদবরচর, ও বহেরাতলা দক্ষিন ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বাড়লেও এখনও বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।
পঞ্চম দফায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি চতুথ দিনের মত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার মাত্র ১৯ এবং একই সময় জেলার উত্তরের উপজেলা কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টেও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, টানা কয়েক দিন পানি কমার পরে পাবনায় আবার বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বাড়লেও এখনও বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।