কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
- আপডেট সময় : ০১:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি। লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিএবং দিনাজপুরে কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।এতে দুর্ভোগে বানভাসিরা অন্যদিকে তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙ্গন
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রাম জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অন্তত: ৩০টি পয়েন্টে ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি হারাতে শুরু করেছে বানভাসী মানুষ। ধরলার পানি বইছে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। নদ-নদীতে পানির খরস্রোতে তীব্র হয়ে উঠছে নদ-নদীর ভাঙ্গন।
……
লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলার পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে এখনও অনেক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা শহরে এখনও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে শহরের অধিকাংশ রাস্তা।
………
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি নতুন করে বাড়েনি। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। তবে ১ সেন্টিমিটার বেড়েছে কাজিপুর পয়েন্টে। এখনো জেলার ৬টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের শত-শত হেক্টর আবাদি জমি,বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাটবাজার পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে বানভাসীদের দুভোগ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
…………
এদিকে, গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।তলিয়ে গেছে আমন ধান ও সবজি ক্ষেত।শহরের নীচু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।