১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যায় তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম, পানিবন্দী লাখো মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতির আরো অবনিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসহ প্রায় আড়াই শতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে গেছে রাস্তা ঘাট। তলিয়ে গেছে বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।এদিকে, পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি,মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। একইহারে বাড়ছে ব্র‏হ্মপুত্রসহ শাখা নদীগুলোর পানিও। দুইদিনের বন্যায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ির,মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘরসহ ফসলী জমি তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৪ ঘন্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ এতে সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল থেকে হাতীবান্ধার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীসার ১৫ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েণ্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো বিশেষ করে আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর অবস্থায় রয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রামে বন্যায় তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম, পানিবন্দী লাখো মানুষ

আপডেট সময় : ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতির আরো অবনিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসহ প্রায় আড়াই শতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে গেছে রাস্তা ঘাট। তলিয়ে গেছে বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।এদিকে, পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি,মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। একইহারে বাড়ছে ব্র‏হ্মপুত্রসহ শাখা নদীগুলোর পানিও। দুইদিনের বন্যায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ির,মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘরসহ ফসলী জমি তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৪ ঘন্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ এতে সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল থেকে হাতীবান্ধার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীসার ১৫ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েণ্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো বিশেষ করে আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর অবস্থায় রয়েছে।