কিছু এলাকার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি
- আপডেট সময় : ১২:০৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পাবনা ও নেত্রকোনার কিছু এলাকার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপরে। ফলে বানভাসীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পাবনা, মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। অপরদিকে, তিস্তা, যমুনা, কাটাখালি ও করোতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
উজানে যমুনার নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাটি অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানি বেড়ে জামালপুরে নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায়
৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৯ জন বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জে আরিচা যমুনা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে ।পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরিচা ঘাট পয়েন্টের গেইজ রিডার মো. ফারুক আহম্মেদ নিশ্চিত করে বলেন, জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে হরিরামপুর, দৌলতপুর, শিবালয় ও সাটুরিয়া উপজেলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।ফলে এসব এলাকা কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি আবারও কমতে শুরু করেছে। তবে পানি বৃদ্ধির তুলনায় কমছে খুব ধীর গতিতে।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার এখনো ৩৫ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখনো কোন অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী মোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি না পেলেও বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি।
পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। বিস্তৃর্ণ জনপদসহ আক্রান্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সড়ক ব্যবস্থাও। ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝূকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।
নেত্রকোণা সদর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক গ্রামের ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।