কাশিমপুরের জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
কারাগারে নারীসঙ্গ, তাও আবার হলমার্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা তুষারের সাথে। করোনাকালে কারাগারে আটক বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ বন্ধ থাকলেও আদেশ অমান্য করলেন তিনি। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে সাক্ষাৎ করেছে এক নারীসহ তিনজন। কারাগারের ভেতর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন ওই কারাগারের জেল সুপার রত্না রায়। এই ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এর পার্ট-১ আটককৃত হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা মালিক তানভিরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সাথে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২:২২মিনিটে সুপার রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২:৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২:৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করে। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২:৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১৩:০৪ মিনিটে তুষার কে সাথে নিয়ে ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি কক্ষে নেন। ১:১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটান ওই নারীর সাথে।
এ ঘটনায় কারাগারের জেল সুপারের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি জেলার সাকলাইন জানান, সুপার স্যারের অনুমতিতেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয় এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে।
সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাওয়া এক যুবক অভিযোগ করেন, কারাগারের কর্মকর্তারা নানাভাবে নির্যাতন চালান। দেশের ইতিহাসে সবচে বড় ঋণ কেলেংকারি কারণে হলমার্কের ব্যবস্হাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার ভায়রা প্রতিষ্ঠানের জিএম তুষার ২০১২ সাল থেকে কারাগারে রয়েছে।