করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের লকডাউন
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের লকডাউন। কিন্তু গেল শুক্রবার থেকেই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬ টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে অঘোষিত লকডাউন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে । তাদের দাবি, জনসচেতনতা বাড়ানোর দিকে মনযোগ না দিয়ে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি।
নগরীর টেরিবাজারের চিত্র এটি। দেশের কাপড়ের বাজারের অন্তত ৩০ ভাগই সরবরাহ হয় এই বাজার থেকে।ঈদমুখী এই বাজারের ব্যবসায়ীরা গেল বছর সাধারণ ছুটিতে অঘোষিক লকডাউনে ব্যাপক লোকশানের মুখে পড়ে । এবার কড়াকড়ি কম থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাজারের অন্তত ৩ হাজার ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য তুলেছেন দোকান ও গুদামে। এখন রোজার আগ মুহূর্তে হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা দেয়ায় জীবিকা হারানোর শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
সোমবার থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের এই সিদ্ধান্ত শনিবার দুপুরে ঘোষণা করা হলেও চট্টগ্রামে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকেই। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের অজুহাতে সন্ধ্যার পর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে হঠাৎ করেই জনসাধারণকে সরিয়ে দেয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হবার পাশাপাশি শর্ত বাড়িয়ে দিয়ে হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে হবে।
সবচেয়ে জনবহুল শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরী পোষাক খাত অন্যতম। গেল বছর করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে টানা এক মাস বন্ধ ছিলো শিল্পটি। যে ক্ষতি এখনো পুষিয়ে নিতে পারেনি এ খাতের উদ্যোক্তারা। এবারের লকডাউনে এই খাতের ওপর সরাসরি বিধি নিষেধ না থাকলেও পরিবহণসহ অন্যান্য কারণে শঙ্কিত বিজিএমইএ নেতারাও।
টানা একবছর করোনাকে মোকাবিলা করে চলতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সবাই। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জরুরী সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মানার শর্তে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করার দাবি সংশ্লিষ্টদের। ফুটেজ-৩