করোনাকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজার এখন নতুনভাবে ফিরে পেয়েছে নিজের প্রকৃত রূপ
- আপডেট সময় : ০৫:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
করোনাকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজার এখন নতুনভাবে ফিরে পেয়েছে নিজের প্রকৃত রূপ। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের অনুপস্থিতিতে লাল কাঁকড়া, কাছিম আর ডলফিনের ছুটাছুটি ছাড়াও সাগর-লতায় ফোটা গঙ্গাফুলসহ প্রাকৃতিক সব সৌন্দর্য্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে এখন তাদেরই। কিন্তু বাধ সেধেছে- পর্যটক ভ্রমনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা। এমন বাস্তবতায় বদলে যাওয়া অপরূপ সৌন্দর্য্যকে সংরক্ষণে পর্যটনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
ক’দিন আগেও যেখানে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিলো, সেখানে এখন জনমানব শুন্য ভূমি। মনের সুখে ঘুরে বেড়ানো লাল কাঁকড়ার দল দখলে নিয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সাথেই যেন মিতালি গড়েছে তারা।
কিছু দুর চোখ যেতেই দেখা মিলে ডলফিনের উচ্ছ্বাস। নীল জলরাশিতে হরেক রঙ্গের ডলফিন লাফিয়ে উঠছে বারবার। যা সাধারণত: দেখা যায়না।বিস্তীর্ণ বালুচরজুড়ে নেই পদচিহ্ন। ফুটেছে গঙ্গাফুল। নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছে সাগর লতা।
ব্যস্ত মেরিন ড্রাইভের দু’পাশজুড়ে ফুলের সমারোহ আর সবুজের হাতছানি। পাহাড় সমুদ্রের মিতালিতে সুনশান নিরবতায় হাসছে সবুজ লতাপাতাও। পরিবেশবাদিরা বলছেন, প্রকৃতি এখন প্রাণ ভরে শ্বাস নিচ্ছে।।
সবসময় দেখা মিলেনা পাখিদের সমুদ্র স্নানের এমন মনোরম দৃশ্যের। নীল জলরাশির বুকে নেই মাছধরা নৌকার হট্টগোল।তাইতো বদলে যাওয়া প্রকৃতি রক্ষায় নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আমিন আল পারভেজ।গেলো বছরও একই সময়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো প্রকৃতির এসব অপরূপ সৌন্দয্য।