করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে উজ্জ্বল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। মিরপুরে ক্যারিবিয়দের দেয়া ১৪৯ লক্ষ্য, ১০০ বল হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মিরাজ-সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪৮ এ গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ দল। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ।

আরও একটা জয় , আরও একটা সিরিজ বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ৫ সিরিজ আর টানা সপ্তম ম্যাচে জিতলো টাইগাররা। তবে, প্রশ্ন উঠতে পারে এবারের জয়টা ক্যারিবিয় দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে। কিন্তু তাতে তো আর মিথ্যে হয়ে যাবে না সাকিব-মিরাজদের দাপুটে পারম্যান্স।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের চুর্ণ-বিচুর্ণ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  ১৪৯ রানের ছোট লক্ষ্যে সাবধানী শুরু বাংলাদেশের। তবে, এ ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ ছিলো লিটন দাসের। ২২ রানে আকিল হোসেইনের স্পিনে কাটা পড়েন এলকেডি।

সাকিবের তিন নম্বর পজিশনে আবারও ব্যর্থ নাজমুল শান্ত’। বন্দি ১৭’র ঘরে। তবে, অবিচল ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটিতে। যদিও ফিফটির পরপরই সাজঘরের ফিরেছেন ক্যাপ্টেইন খান।

৪০ রানের অবিচ্ছ্বিন্ন জুটিতে জয়ের জয়ের বাকী কাজটি করেছেন সাকিব-মুশফিক। ৪৩-এ সাকিব আর ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে, মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ দল। সুনীল আমব্রিসকে ফিরিয়ে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরু’র চমক মোস্তাফিজের। ব্যক্তিগত ৬ রানে ক্যারিবিয় ওপেনারকে ফেরান কাটার মাস্টার।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্যারিবিয়রা। মেহেদী মিরাজ আর সাকিব আল হাসানদের বোলিং তাণ্ডবে ৮৮ রানে হারায় ৮ উইকেট। সফরকারীদের হতশ্রী দশা আরও বাড়ে মাঝে কাইল ম্যায়ার্স রান আউটে কাটা পড়লে।

কিছুটা খরুচে ছিলেন তবে, উইকেট শূন্য ছিলেন না নতুন সেন্সেশন হাসান মাহমুদ। সাকিব, মোস্তাফিজের জোড়া শিকারের দিনে এনক্রুমাহ বোনারকে ফিরিয়েছেন লক্ষীপুর এক্সপ্রেস। এক প্রান্ত আগলে রেখে চেস্টা করেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু দৃষ্টান্ত হতে পারেননি। কেন না দিনটা যে মেহেদী মিরাজের। ১৪৮’শে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রায় ১১ মাসের করোনা বিরতি কাটিয়ে ফেরা টাইগারদের এমন রং ছড়ানোর পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ক্রীড়া প্রেমীরা।