করোনাভাইরাসের কারণে আটকে আছে সরকারি-বেসরকারি সব নিয়োগ প্রক্রিয়া
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে আটকে আছে সরকারি-বেসরকারি সব নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে যাদের সরকারি চাকুরিতে আবেদনের বয়স শেষ পর্যায় তারা পড়েছেন চরম হতাশায়। করোনার ক্ষতি পোষাতে আর দেশের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে চাকুরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী ভুক্তভোগীদের। তবে, ভিন্ন মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিকের। এই শিক্ষাবিদের মতে বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মিত চালু রাখাই হবে কর্তৃপক্ষের সঠিক সিদ্ধান্ত।
দেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু ৭২ বছর ৩ মাস। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯। বয়স বৃদ্ধি। চাকরিতে ব্যাপক প্রতিযোগিতা। এসবের মারপ্যাচে অতিষ্ঠ চাকরি প্রার্থীরা। আর এবার প্রতিযোগিদের কাছে যেন মরার উপর খাড়ার ঘা প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস।
করোনার কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ সবধরের নিয়োগ। সেই সাথে বন্ধ নিয়োগ পরীক্ষাও। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তারও সুনির্দিস্ট ধারণা নেই কারো। তাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরি প্রার্থীরা। তাদের মধ্য একজন আব্দুল বাতেন। সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চাকুরির বিজ্ঞপ্তি আসার কথা থাকলেও করোনা কারণে সেটি আটকে যায়। ফলে বিজ্ঞতিগুলো তিনি আর পাননি।
আব্দুল বাতেনের মতো এমন লাখো চাকরি প্রার্থী এখন বাংলাদেশে ছড়িয়ে। যারা একদিকে যেমন বড় ডিগ্রি নিয়ে বেকরত্ব জীবনের গ্লানি টানছঅন্যদিকে,চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমাবদ্ধতা নিয়ে দুশ্চিনতায় ভুগছেন। যা করোনায় গতিশীল হয়েছে কয়েকগুন।
তবে, চাকুরি প্রার্থীদের দাবিতে ভিন্ন মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। এদিকে, চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার কথা ভাবছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০ বছর। আবার পৃথিবীর অনেক দেশে বয়সের বাধ্যবাধকতা নেই।