কমিশন বাঁচাতে চুক্তিতে রাইড শেয়ার করছে অধিকাংশ চালক
- আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
যানজটপূর্ণ নগরীতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই পছন্দের তালিকায় রাখেন অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অপারেটরের মোটরসাইকেল। অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এসব সেবায় এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে নানান অনিয়ম আর ঝুঁকি। ফলে ঘটছে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনাও। চালকরা বলছেন, অতিরিক্ত কমিশনের বোঝা থেকে বাঁচতেই অ্যাপস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছে তারা। যাত্রীরাও অসচেতনভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বেছে নিচ্ছেন নিয়মবহির্ভূত এসব মোটরবাইক। তবে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অপারেটরগুলোর কাছে মিলেনি কোনো সদুত্তর।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি দেশে রাইড শেয়ারিং সেবার সূচনা হয়। ঢাকার ভয়াবহ যানজটের কারণে শুরু থেকেই তা গ্রাহকদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। শুরুতে এটি নিয়ম মেনে অ্যাপসভিত্তিক পরিচালিত হলেও এখন তা খুব কমই দেখা যায়। অ্যাপসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাম রেজিস্ট্রেশন করা থাকলেও অধিকাংশ চালকরা এখন অ্যাপ বাদ দিয়েই রাইড শেয়ার করছে।
অ্যাপস চালু না করেই চুক্তিতে কেন? জানতে চাইলে চালকরা অ্যাপসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অতিরিক্ত কমিশন এবং হয়রানিকে দায়ি করেন। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্বেও চুক্তিতে এভাবে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবেও তাদের একই উত্তর। যাত্রীরা বলছেন, সময় বাঁচাতে এবং সহজলভ্য হওয়ার কারণে এভাবে সেবা নিচ্ছেন তারা।
চালকদের অভিযোগের ব্যাপারে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাঠাও এবং উবারের সাথে যোগাযোগ করলে; এ ব্যাপারে উবার কতৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে চালকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাঠাও কতৃপক্ষ। অ্যাপস ছাড়া যাত্রী এবং চালক কেউই নিরাপদ নয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অ্যাপস ছাড়া রাইড শেয়ারিংয়ে চালক কিংবা যাত্রী; কারোরই কোনো তথ্য সংরক্ষণ থাকে না। এতে ঘটতে পারে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা। ফলে প্রশ্ন হচ্ছে দেশের রাইড শেয়ারিং আসলে কোন পথে?