ক’বছর আগেও এমন সুন্দর জীবন-যাপনের কথা ভাবেনি রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ০১:৪২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
ক’বছর আগেও এমন সুন্দর জীবন-যাপনের কথা ভাবেনি রোহিঙ্গারা। এখন ভাসানচর ছাড়িয়ে গেছে তাদের সপ্নের সীমারেখা। শিশুরা খেলবে, লেখাপড়া শিখবে, নারীরা ঘরের কাজ শেষে হাঁস-মুরগি পালনের পাশাপাশি সেলাই করে সংসারের সহোযোগী হবে। এমন সুন্দর গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবির দেখা মিললো ভাসানচরে।
ভাসানচরের ১২ নম্বর শেল্টার সেন্টারের নিচতলার চিত্র এটি। শতাধিক শিশুকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাদের পাঠ্যসুচিতে রয়েছে উন্নত জীবন যাপনের জন্য লাইফ স্কিল, ইংরেজি শিক্ষা আর মিয়ানমার ভাষার বই। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিয়ানমার কারিকুলামে শিক্ষিত করে তোলার তাগিদ দিয়েছে সরকার।
আরেকটি শেল্টার সেন্টারে সেলাই শিখছেন রোহিঙ্গা নারীরা। পাশাপাশি হাস-মুরগি পালন আর ঘরের আঙ্গিনায় পরিকল্পিত কৃষিকাজেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বিআরডিবি’র উদ্যোগে। প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পরিবারের সহযোগী হতে চান তারা।
পুরুষদের এখনো কাজের আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়নি সরকার। তারপরও ঘরের আঙ্গিনায় টং দোকানসহ ছোট-খাটো নানা কাজে ব্যস্ত থাকে তারা। সন্ধ্যার পর মেতে ওঠে গান-বাজনাসহ নির্মল বিনোদনে।
কক্সবাজারের কুতুপালং থেকে স্থানান্তরিত হওয়া এসব রোহিঙ্গারা জানান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হলেও, ভাসানচরে এসে ভুল ভেঙ্গেছে তাদের।