০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউজিল্যান্ডে যা-ইচ্ছে তাই বাংলাদেশ। আবারও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১৬৪ রানে হেরেছে লাল-সবুজ। ওয়েলিংটনে টস জিতে আগে ব্যাট করে কনওয়ে ও মিচেলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩১৮ তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বৃথা গেছে মাহমুদউল্লাহ’র অপরাজিত ৭৬ ইনিংস। টাইগাররা অলআউট মাত্র ১৫৪ রানে।

কথায় আছে সকালের সূর্য সবসময় দিনের আভাস দেয় না, ওয়েলিংটনে তার-ই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখল নিউজিল্যান্ড। তবে, তার নেপথ্যে দুই জন, ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেল। ১২০ রানে চার উইকেট হারানো দলকে টেনে তুলেছেন। ইনিংস মেরামত করেছেন পঞ্চম উইকেটে ১৫৯ রানের জুটিতে। তাতে ৬ উইকেটে ৩১৮ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনই। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পেতে কনওয়ে খেলেছেন মাত্র ৯৫ বল।

ড্যারেল মিচেল আরও আগ্রাসি। ৬৩ তে মাহমুদউল্লাহ’র ক্যাস মিসের সুযোগ নিলেন এই মিডঅর্ডার। সেঞ্চুরির রানটাও যেন মুশফিকের গিফট।

ক্রাইস্টচার্চের মতো ওয়েলিংটনেও ক্যাস মিসের মহড়া ছিলো মুশফিক-মোস্তাফিজদের। নিকোলস-টেইলররা জীবন পেয়েছিলেন শুরুতে। তবে, লিটন-মিরাজদের চোখ জোড়ানো ক্যাচ কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছে সেই ক্ষতে। দলীয় ৫৭-তে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়।

চতুর্থ উইকেটে লাথাম-কনওয়ের ৬৩ জুটিকে ভংয়ঙ্কর হতে দেননি পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। ১৮ রানে লাথাম কে ফিরিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা।

জিততে হলে বাংলাদেশকে ভাঙ্গতে ৩২ বছরের রেকর্ড। ওয়েলিংটনে এর আগে ২৫৪ চেজ করে জিতেছে নিউজিল্যান্ড তাও ১৯৮৯ সালে। সেই চাপটাই হয়তো উতরাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। তামিম ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১ রানে। একই পথের পথিক সৌম্য সরকার।

কিউই পেসে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারও। ২৬-৭৭ এই ৫১ রানে লিটন-মিথুন, মুশফিকসহ চার ব্যাটসম্যানের বিদায়।

শেখ মেহেদি-তাসকিনরাও আশা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ। শুধু প্রাপ্তি হয়ে থাকলো মাহমুদউল্লাহ’র লড়াকু মানুসিকতা। অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস।

১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবকে রাঙ্গাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সাথে ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার হোয়াইটওয়াশ। কিউই ভেন্যু ইতিহাস বদলানোর অপেক্ষা বড়লো তামিশ-মুশফিকদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা

আপডেট সময় : ০৭:২৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

নিউজিল্যান্ডে যা-ইচ্ছে তাই বাংলাদেশ। আবারও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১৬৪ রানে হেরেছে লাল-সবুজ। ওয়েলিংটনে টস জিতে আগে ব্যাট করে কনওয়ে ও মিচেলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩১৮ তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বৃথা গেছে মাহমুদউল্লাহ’র অপরাজিত ৭৬ ইনিংস। টাইগাররা অলআউট মাত্র ১৫৪ রানে।

কথায় আছে সকালের সূর্য সবসময় দিনের আভাস দেয় না, ওয়েলিংটনে তার-ই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখল নিউজিল্যান্ড। তবে, তার নেপথ্যে দুই জন, ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেল। ১২০ রানে চার উইকেট হারানো দলকে টেনে তুলেছেন। ইনিংস মেরামত করেছেন পঞ্চম উইকেটে ১৫৯ রানের জুটিতে। তাতে ৬ উইকেটে ৩১৮ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনই। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পেতে কনওয়ে খেলেছেন মাত্র ৯৫ বল।

ড্যারেল মিচেল আরও আগ্রাসি। ৬৩ তে মাহমুদউল্লাহ’র ক্যাস মিসের সুযোগ নিলেন এই মিডঅর্ডার। সেঞ্চুরির রানটাও যেন মুশফিকের গিফট।

ক্রাইস্টচার্চের মতো ওয়েলিংটনেও ক্যাস মিসের মহড়া ছিলো মুশফিক-মোস্তাফিজদের। নিকোলস-টেইলররা জীবন পেয়েছিলেন শুরুতে। তবে, লিটন-মিরাজদের চোখ জোড়ানো ক্যাচ কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছে সেই ক্ষতে। দলীয় ৫৭-তে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়।

চতুর্থ উইকেটে লাথাম-কনওয়ের ৬৩ জুটিকে ভংয়ঙ্কর হতে দেননি পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। ১৮ রানে লাথাম কে ফিরিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা।

জিততে হলে বাংলাদেশকে ভাঙ্গতে ৩২ বছরের রেকর্ড। ওয়েলিংটনে এর আগে ২৫৪ চেজ করে জিতেছে নিউজিল্যান্ড তাও ১৯৮৯ সালে। সেই চাপটাই হয়তো উতরাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। তামিম ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১ রানে। একই পথের পথিক সৌম্য সরকার।

কিউই পেসে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারও। ২৬-৭৭ এই ৫১ রানে লিটন-মিথুন, মুশফিকসহ চার ব্যাটসম্যানের বিদায়।

শেখ মেহেদি-তাসকিনরাও আশা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ। শুধু প্রাপ্তি হয়ে থাকলো মাহমুদউল্লাহ’র লড়াকু মানুসিকতা। অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস।

১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবকে রাঙ্গাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সাথে ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার হোয়াইটওয়াশ। কিউই ভেন্যু ইতিহাস বদলানোর অপেক্ষা বড়লো তামিশ-মুশফিকদের।