ওমরা পালনের জন্য নতুন নিয়ম করলো সৌদি

- আপডেট সময় : ০৬:২২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / ১৭৫৭ বার পড়া হয়েছে
সৌদি সরকার সম্প্রতি ওমরাহ পালনকে আরও সুরক্ষিত ও পরিচালিত করতে একাধিক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। স্বাস্থ্যের সিদ্ধান্ত, শিশু ও প্রবীণদের নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তেছে বিশাল গুরুত্ব।
হজ শেষে ওমরাহর মৌসুম শুরু হতে না হতেই নতুন এ নীতিমালা দিয়েছে সৌদি সরকার। বলা হচ্ছে, ওমরাহযাত্রীদের নিবন্ধিত আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নীতিমালা আরও কঠোর করেছে রিয়াদ।
মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা পবিত্র হজ শেষ হওয়ার পরপরই গেলো ১০ জুন থেকে ওমরাহ ভিসা চালু করে সৌদি আরব। নতুন মৌসুমে বিদেশি ওমরাযাত্রীরা মক্কায় পৌঁছাতে শুরু করেন তার পরদিন থেকেই।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই অনুমোদিত হোটেল বুকিং ছাড়া ওমরাহ ভিসা পাবেন না কোনো বিদেশি মুসলিম। এ জন্য সৌদি সরকারের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল গেটওয়ে নুসুক মাসারে অস্থায়ী আবাসন চুক্তির প্রমাণ দেখাতে হবে আগেই।
এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে নতুন এ ওমরাহ নীতিমালা। এতে বলা হয়, ওমরাহযাত্রীদের সেবাদানে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও বিদেশি কর্মীদের জন্য সৌদি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত হোটেলগুলোতে মুসল্লিদের আবাসন নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
ওমরাহ পালনকে আরও সুরক্ষিত ও পরিচালিত করতে একাধিক নতুন নির্দেশনাঃ-
১। এখন শুধু মাত্র ভিসা ইস্যু করা হবে না — অন্যান্য সেবা সহ নিতে হবে।
২। পুরো যাত্রা সময়ের জন্য হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক।
৩। অনুমোদিত নয় এমন হোটেল বুক করলে ভিসা ইস্যু হবে না।
৪। নতুন নিয়মে পরিবহণ ব্যবস্থা ছাড়া ভিসা দেওয়া হবে না।
৫। বর্তমানে গ্রুপ ছাড়া সফর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬। এখন একই যানবাহনের যাত্রীদের একই হোটেলে থাকতে হবে।
৭। এখন যাত্রীর সংখ্যা ও গাড়ির মান অনুযায়ী ভিসা ফি ভিন্ন হবে।
৮। শিশুদের ভিসা ও হোটেল ও পরিবহনসহ নিতে হবে, না হলে ভিসা দেওয়া হবে না।
৯। পুরো গ্রুপের পরিকল্পনা অনুযায়ী একক (ইউনিফায়েড) ভাউচার তৈরি হবে।
১০। নিশ্চিত (কনফার্মড) টিকিট ছাড়া ভিসা ইস্যু হবে না।
১১। অনুমোদনের পর ভাউচারে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
১২। স্থানীয় (ইকামা হোল্ডার) কেউ হোটেলে থাকতে পারবে না।
১৩। এখন শুধু ভাউচারে উল্লিখিত হোটেলেই থাকা বাধ্যতামূলক।
এসব নিয়ম মেনে চলা সকল এজেন্সি, ক্লায়েন্ট এবং যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক। নিয়ম ভঙ্গ করলে জরিমানা, কোম্পানি বন্ধ বা ভবিষ্যতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা হয়, তাহলে তা আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হবে।