দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ উল আজহা। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন ও দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু।

এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার নয়ণ তারা ও গৌরীপুরের তুফান।

আর গোপালগঞ্জের টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু ও ধলাপাহাড় নামের গরু এবার বাজার মাতাবে আশা খামারীদের।

শাহিওয়াল এবং হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় গত চার বছর ধরে পালন করে আসছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার নয়নবাড়ির খামারী আব্দুর রাজ্জাক এবং গৌরীপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের খামারী আল-আমীন। নয়ণ তারা দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৫ ফুট এবং ওজনে প্রায় ২৫ মণ। আচারণেও বেশ শান্তশিষ্ট। দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। উত্তেজিত তুফান দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ৫ ফুট এবং ওজনে ৩০ মণ। দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা।

প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা ষাঁড়গুলোর প্রত্যাশিত দামের আশা রক্ষণাবেক্ষণকারীদের।এদের দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।

এবারও ক্রেতাদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা চিন্তা করে, হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনা বেচার মাধ্যম রাখা হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় খামারী এবং কৃষক পর্যায়ে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার গবাদিপশু। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় দু’লাখ বেশি।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের গরু খামারী গিয়াস উদ্দিন ঈদকে সমানে রেখে টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু ও ধলাপাহাড় নামে ৪টি গরু পালন করেছেন কোরবানীর জন্য। প্রায় ৩০ মন ওজনের টাইগার ও দুরন্তের দাম ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা আর প্রায় ২৮ মন ওজনের রাজাবাবু ও ধলাপাহাড়ের দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।

টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু ও ধলাপাহাড় নামের এই চারটি গুরুকে প্রাকৃতিক খাবারে বড় করে তোলা হয়েছে।

খামার বা অনলাইনের মাধ্যমে গরু কিনতে পারবে ক্রেতারা। তবে টার্গেট মত দাম পেলে এই চারটি গরু বিক্রি করবেন বলে জানান, গরুর মালিক। তবে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জানালেন, গরু মোটাজাতা করতে এসব খামারীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ বছর জেলায় খামার ও ব্যাক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৩ হাজার পশু কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।