তিতাসের ৩০ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুদক
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৮ বার পড়া হয়েছে
এবার তিতাস গ্যাস কোম্পানীর দুর্নীতির দিকে নজর দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। তিতাসের শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। এর মধ্যে ৩০ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে সংস্থাটি। অবৈধ সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে অভিযুক্তরা। ইতোমধ্যে তিতাসের ১০ কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়েছে দুদক। সেপ্টেম্বরে আরো ২০ জনকে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কেউ পার পাবে না বলে জানান দুদক সচিব।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায়, দেশে অবৈধ সংযোগ বেড়েছে। একইসঙ্গে মিটার ট্যাম্পারিং, সিস্টেম লসসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে তিতাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এমন শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর যাচাই-বাছাই করে ৩০ জনের সম্পদ ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরই মধ্যে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল ওহাবসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য ও সরবরাহ করা রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে এখন।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আরো ২০ জনকে। তালিকায় রয়েছেন, পেট্টোবাংলার পরিকল্পনার বিভাগের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মঈনুল মোস্তাক, উপ-ব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক মো. আবদুল মান্নান, পার্সোনাল শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান, কোম্পানি সচিব মাহমুদুর রব, করোশন কন্ট্রোল শাখা ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সুপারভাইজার হারুণ আল রশিদ, সিনিয়র বিক্রয় সহকারী ফয়েজ আহমেদ লিটন, সিবিএ সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সিনিয়র বিক্রয় প্রতিনিধি ফারুক আহম্মেদসহ ২০ জন।
দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, তিতাস গ্যাস কোম্পানীতে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে কাজ করছে তারা।
২০১৯ সালে তিতাস গ্যাসের দুর্নীতির ২১টি খাত চিহ্নিত করে, তা প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ পাঠিয়েছে দুদক।