এদিকে ঘূর্ণিঝড়- ‘ইয়াস’ এগিয়ে আসায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো
- আপডেট সময় : ০৭:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
এদিকে ঘূর্ণিঝড়- ‘ইয়াস’ এগিয়ে আসায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোহাম্মদ এনামুর রহমান। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবকসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত আনার শংকা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর। ধেয়ে আসা এই ঘূর্ণীঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করতে সোমবার সকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বসে প্রস্তুতি বিষয়ক সভা। এতে প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর বর্তমান গতিপথ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম। তবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।
ইয়াস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা ও জাহাজ ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অফিস থেকে ২ নম্বর দুরবর্তি সতর্ক সংকেত দেয়া হলেও সাগর উত্তাল না হওয়ায় এখনো বন্দরের অপারেশন স্বাভাবিক আছে। তবে ৪ নম্বর সিগনাল আসার সাথে সাথে বহিনোঙ্গরের অপারেশন বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া ঝড় পরবর্তি দ্রুত বন্দরের অপারেশন স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় জেলা ও উপজেলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায়, জেলা প্রশাসক জানান, ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত। পাশাপাশি ১৫০০ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রয়েছে ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য।
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হয়ে খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমন খবর প্রচার হওয়ার পর জেলার পাঁচ উপজেলার দু’লাখ মানুষ আতঙ্কে আছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ৯ উপজেলায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ১০৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র আর ১১৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় তৈরী আছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সময় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে জেলায় ৬৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বরগুনার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ছয়টি উপজেলায় ৪৪টি মেডিকেল টিম ছাড়াও খোলা হয়েছে তিনটি কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া পিরোজপুর, বাগেরহাট, যশোর, ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ইয়াশ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।