এগারতম ফাইনালে হেক্সা মিশনে সফল জার্মান জায়ান্টরা
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। আরো একবার বায়ার্ন মিউনিখের সাফল্য গাঁথা। এগারতম ফাইনালে হেক্সা মিশনে সফল জার্মান জায়ান্টরা। কিংসলে কোমানের একমাত্র গোলে পিএসজিকে হারিয়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্ব বাভারিয়ানদের। বিপরীতে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত নেইমার-এমবাপ্পে-ডি মারিয়ারা।
জয়- পরাজয়! আবেগ অনুভূতির মেরুকরনে বায়ার্ন নিউনিখ-পিএসজির ফুটবলাররা। কেউ মাতছেন আনন্দের উল্লাসে কেউবা প্রথমবার ট্রফি জয়ের স্বপ্ন জ্বলাঞ্জলি দিয়েছেন চোখের জ্বলে। কাঁদলেন নেইমার, পেরেদেসরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। ফাইনালে ফরাসী চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে লিভারপুলের সমান ষষ্ঠ শিরোপা বাভারিয়ানদের। যাদের সামনে শুধু এখন এসি মিলান আর রিয়াল মাদ্রিদ।
ভাগ্য সবসময় থাকে সাহসীদের পক্ষেই। সেটার আরও একবার প্রমাণ, মিউনিখের তরুণ সেনানী কিংসলে কোম্যান জাদুতে। ডি বক্সের মধ্যে ৫৯ মিনিটের তার এই হেড, গড়ে দিলো সব হিসাব নিকেশ। পর্তুগালের স্তাদিও দ্যা লুজ ভাসলো লাল রংয়ে।
অথচ গল্পর শুরুটায় যেন নীল উৎসব। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা খেলায় রাশটা ছিল প্যারিসিয়ানদের হাতেই। কিন্তু আক্ষেপের আগুনে পুড়ে ছাই নেইমার, এমবাপ্পে, ডি মারিয়ারা। এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটা পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু বাধার দেয়াল হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা ম্যানুয়েল নয়্যার।
প্লে মেকার রোলে ডি মারিয়া ছিলেন দুর্দান্ত। তবে ফাইনালের উত্তেজনা থেকেই কিনা বল পাঠালেন আকাশ পানে। যে তালিকায় সামিল এমবাপ্পেও।
পাল্টা আক্রমণে ভিতি ছড়ায় বায়ার্ন মিউনিখ। তবে, প্রথমার্ধে ভাগ্য সহায় হয়নি বাভারিয়ানদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর গল্পটাতো বলা হয়েছিল আগেই। মাঝে পিএসজি সমর্থকদের জ্বালা বাড়িয়েছে ব্যাকপাস আর ম্যারমেরে ফুটবল। ইনজুরি সময়ে বদলী ভেরাত্তি, নেইমার আর এমবাপ্পের আক্রমন ছিলো পিএসজির শেষ সুযোগ। ভেস্তে গেছে সেটাও। ফলে স্বপ্ন চূর্ণ হলো পিএসজির, অধরাই রইলো ইউরোপ সেরার ট্রফিটা।