ক্যামিকেল,কালো ধোঁয়া ও ফ্যাক্টরির ধুলো-বালিতে রুপগঞ্জের পরিবেশ বিপর্যয়
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
একদিকে ডায়িং ফ্যাক্টরির ক্যামিকেল যুক্ত পানি, অন্যদিকে কালো ধোঁয়া ও বড় বড় মিল-ফ্যাক্টরির ধুলো-বালিতে একাকার। নারায়ণগঞ্জ রুপগঞ্জের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এভাবে হরহামেশাই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে হতাশার কথা শোনালেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হলে লাগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। অনেক প্রতিষ্ঠানকে দেয়াও হয় ছাড়পত্র। কিন্তু কারখানাগুলোর বাস্তব চিত্র দেখেই বোঝা যায় , কতটুকু মানা হচ্ছে পরিবেশ আইন।
বলছি নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কথা, এখানে রয়েছে প্রায় কয়েক শ’ শিল্পপ্রতিষ্ঠান । যারা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। ক্রমেই দূষিত হচ্ছে শীতলক্ষ্যার পানি।
এই এলাকার প্রতিটি জলাশয় কিংবা ড্রেন, এমনকি বসতবাড়িও তলিয়ে যায় নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে। এতে চর্মরোগ, হাঁপানি শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা। অবস্থা এমন বেগতিক, যে দেখার কেউ নেই।
পরিবেশ দূষণের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও। এটি টিকে গ্রুপের পুষ্টি আটা ময়দার ফ্যাক্টরি। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে নির্ঘত ধুলোয় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে টিকে গ্রুপের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ সব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সহসাই কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এদিকে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জানান জনবল সঙ্কট সহ নানা কারণেই ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা।