উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় পেয়েছে জুভেন্টাস, বার্সেলোনা, পিএসজি ও চেলসি’র মতো দলগুলো। জুভেন্টাস ৩-০ গোলে হারিয়েছে ডায়নামো কিয়েভকে। এ ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছুঁয়েছেন সাড়ে সাতশ ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ড। লিওনেল মেসিকে ছাড়াই বার্সেলোনা ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফেরেঙ্কভারোসকে। নেইমারের জোড়া গোলে ম্যানইউকে ৩-১ গোলে হারায় পিএসজি। এছাড়া চেলসি ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সেভিয়াকে। হ্যাটট্রিক করেছেন অলিভিয়ের জিরু।

। ওল্ড ট্রাফোর্ড মানেই যে পিএসজির জয়জয়কার তা আরো একবার প্রমাণ করলো ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। তাত নক আউট পর্বে যাওয়াটা এখনো অনেক যদি-কিন্তুর উপর নির্ভর করছে ম্যান ইউ’র।

ওল্ড ট্রাফোর্ড জয়ের শুরুটা নেইমারের কল্যাণে। ম্যাচের ৬ মিনিটে পিএসজিকে লিড এনে দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

দর্শকশূণ্য ওল্ডট্রাফোর্ডে গর্জে ওঠেন মার্কাস রাশফোর্ড। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরান রেড ডেভিলদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধটা স্মরণীয় করে রাখেন মারকুইনহোস তার অসাধারণ গোলে। আবারও এগিয়ে যায় ফরাসী জায়ান্টরা।

পরের মিনিটেই ইউনাইটেডের দ্বিতীয় ধাক্কা হয়ে আসে মিডফিল্ডার ফ্রেডের লাল কার্ড। দশ জনের ম্যান ইউ ইনজুরি সময়ে হজম করে আরো এক গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যা নেইমারের ৩৮তম।

আরেক ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোতে মুগ্ধ জুভেন্টাস। আরও একটি ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়েছেন সিআরসেভেন ম্যাচের দ্বিতীয় গোলে। নিজের ৭৫০তম ক্যারিয়ার গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যা ১৩২তম।

ফেদরিকো সিসা ও আলভারো মোরাতা দুই অর্ধে করেছেন বাকি দুই গোল। ছেড়ে কথা বলেনি ডায়নামো কিয়েভ। গোল আদায় করতে না পারলেও তুরিন গিয়ে ঝলক দেখিয়েছে একের পর এক আক্রমনে।

আরেক ম্যাচে ফেরেঙ্কভারোসের বিপক্ষে শুধু মেসি না, ওসাসুনার বিপক্ষে লিগ ম্যাচের পাঁচজনকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন রোনাল্ড কোম্যান। কিন্তু সাবলীল কাতালান জায়ান্টরা। মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে দিয়েছে তিন গোল।

আঁতোয়া গ্রিজম্যান, মার্টিন ব্রাথওয়েট ও ওসমান ডেম্বেলে তিন গোল করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক। যার ফল ৩-০ গোলের জয়।

জুভেন্টাসের মত বার্সেলোনারও নক আউট পর্ব নিশ্চিত। গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারিত হবে এই দুই দলের বাকি ম্যাচে।