উপসর্গসহ করোনায় এ পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৬০ জন সাংবাদিকের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
প্রাণঘাতী ভাইরাস- করোনার মরণ থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ খ্যাত- সাংবাদিকরা। সময় যত গড়াচ্ছে, করোনার থাবায় ততই প্রাণ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা। পরিসংখ্যান বলছে, উপসর্গসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৬০ জন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন। যা বিশ্বের অন্য যে-কোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। আবার আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন হাজারেরও বেশি। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের নিয়েও শঙ্কায় সহকর্মীরা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান গত ১১ জানুয়ারী ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ জুন গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খ্যাতিমান সাংবাদিক কামাল লোহানী।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩১ মে মারা যান স্বনামধন্য টিভি ব্যক্তিত্ব ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল- এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ।
দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির কর্ণধার নুরুল ইসলাম বাবুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২০২০ সালের ১৩ জুলাই।
১৬ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান একাত্তর টিভির সহযোগী প্রযোজক রিফাত সুলতানা।
গত বছরের ১৬ মে দৈনিক সময়ের আলোর প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবীর খোকন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ২০ মে দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসলাম রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
করোনাকালের লকডাউন ও ছুটিতে সবাই যখন কোয়ারেন্টাইন মেনে বাসায় অবস্থান করছেন, সেখানে সাংবাদিকরা জনস্বার্থে ঘর ছেড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন নিত্য নতুন খবরের পেছনে। সরকারের নির্দেশনা ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সচেতন করছেন জনগণকে, আবার জনগণের দাবী, আশা-আকাঙ্ক্ষা কিংবা ভোগান্তির খবর তুলে ধরছেন সরকারী মহলে। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অফিসে। আর এভাবেই আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। কিন্তু আক্রান্ত হলেও বেতনভাতা ছাড়া কোন ধরনের সহায়তা পাননি তারা।
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের বিশেষ প্রণোদনার পাশাপাশি অকাল-প্রয়াতদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বীমা ও অনুদানের ব্যবস্থা চালু করা উচিত বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতারা।
তাছাড়া, সকল সাংবাদিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালুর দাবীও জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো।