নদীতীরের অনেক এলাকায় বেড়েছে ভাঙ্গন
- আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীতীরের অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ফরিদপুরে গত ৩ দিনে বন্যার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার প্রায় ৮০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। তলিয়ে গেছে এলাকার রাস্তা-ঘাটসহ ফসলি জমি।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরো ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও। ফলে৭ উপজেলার প্রায় ৩০টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
পাবনায় যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বড়াল নদীর পানি বড়াল ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২৪ ঘন্টায় মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি কমলেও জেলার অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
ক্রমেই অবনতি ঘটছে টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতি। যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাসাইলে একটি বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। ইতোমধ্যে জেলার সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর, দেলদুয়ার, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।