করোনা পরিস্থিতিতে নিজের স্বপ্নের পশুর সঠিক দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষীরা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নাটোরে এবছর প্রায় এক লাখ কোরবানীর পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। যার বাজার মুল্য সাড়ে ৬’শ কোটি টাকা। তবে করেনা ভাইরাসের প্রভাবে ও ভারতীয় গরু আমদানী হলে লোকসানের আশংকা করছেন খামারিরা।এদিকে বাগেরহাটে ৪৩ হাজার ৮‘শ ২৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদার তুলনায় এবারে পশুর পরিমান বেশি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে নিজের স্বপ্নের পশুর সঠিক দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা।
নাটোরের ৭টি উপজেলাতেই কম বেশী কোরবানীর পশু মোটা তাজা করা হয়। এরমধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলায় সব’চে বেশী। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ীতেই পশুর খামার। গরু পালনকারীরা জানান, বিভিন্ন ব্যাংক বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তারা গরুর খামার করেছেন। সঠিক সময়ে গরু বিক্রি করতে না পারলে চরম লোকসানে পড়বেন তারা।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনের সহায়তায় পশুগুলোকে অন্য এলাকায় স্থানান্তর করে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এই মহামারিতে খামারিদের ক্ষতি কিছুটা কমবে তবে দেশীয় খামারীদের টিকিয়ে রাখতে ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন খামারিরা।
এদিকে, বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসেবে,এবছর কোরবানির জন্য জেলায় ৪৩ হাজার ৮‘শ ২৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। খামারীরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে তিন মাস ধরে কোন হাট বসছে না । তাই বাজার মন্দা থাকায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর চিন্তা রয়েছে বলে জানান জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ।