১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

আড়াই বছর পর এসএ পরিবহনের কাছে গ্রাহকের পণ্যের শুল্ক দাবি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একজনের দায় অন্যের উপর চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা ঢাকার চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ২০১৯ সালে কেরানীহাটের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে কয়েক কার্টুন সিগারেট আসে দেশের শীর্ষস্থানীয় পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান- এসএ পরিবহনের মাধ্যমে। যা গ্রাহক বুঝে নেয়ার আগেই মুসক চালানের কপি, প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর সংবলিত মেমোসহ পণ্যটি নিয়ে যায় কাস্টমস কর্মকর্তারা। আড়াই বছর পর এখন সেই পণ্যের শুল্ক দাবি করছে এসএ পরিবহনের কাছ থেকে। অথচ দীর্ঘ এই সময়ে প্রেরক বা প্রাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাই করেনি ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট বাজারে এসএ পরিবহনের এই অফিসটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকাকে সারাদেশ এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক ডাক ও প্বার্সেল সেবার সঙ্গে পরিচিত করিয়েছে।

২০১৯ সালের ৪ জুলাই এ অফিস থেকে ডেলিভারির শর্তে বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে আসা কয়েক কার্টুন সিগারেট নিয়ে যায় কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট এর পটিয়া বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা। অফিস পণ্যের সঙ্গে মুসক চালান, মেমোসহ সব ডকুমেন্টও নেয় তারা ।

আড়াই বছরের মাথায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ওই পণ্যের ওপর সম্পুরক শুল্কো ও সারচার্জের সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে হবে এসএ পরিবহনকে। অথচ পণ্যের মেমোতে প্রেরক-প্রাপকের নাম ঠিকানা ও রেজিষ্টার্ড মোবাইল নম্বর থাকা সত্ত্বেও  তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাই করেনি ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। এমনকি সংশ্লিষ্ট মামলাতেও তাদেরকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। এতে বিষ্মিত আইনজীবীরা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই ধরণের ঘটনার দায় প্রেরক ও প্রাপকের ওপর বর্তায়। কিন্তু তাদের সন্ধান না করে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।

তবে এব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনার আকবর হোসেন। টানা তিন দিন তার অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আড়াই বছর পর এসএ পরিবহনের কাছে গ্রাহকের পণ্যের শুল্ক দাবি

আপডেট সময় : ০৫:২০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

একজনের দায় অন্যের উপর চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা ঢাকার চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ২০১৯ সালে কেরানীহাটের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে কয়েক কার্টুন সিগারেট আসে দেশের শীর্ষস্থানীয় পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান- এসএ পরিবহনের মাধ্যমে। যা গ্রাহক বুঝে নেয়ার আগেই মুসক চালানের কপি, প্রেরক ও প্রাপকের ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর সংবলিত মেমোসহ পণ্যটি নিয়ে যায় কাস্টমস কর্মকর্তারা। আড়াই বছর পর এখন সেই পণ্যের শুল্ক দাবি করছে এসএ পরিবহনের কাছ থেকে। অথচ দীর্ঘ এই সময়ে প্রেরক বা প্রাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাই করেনি ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট বাজারে এসএ পরিবহনের এই অফিসটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকাকে সারাদেশ এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক ডাক ও প্বার্সেল সেবার সঙ্গে পরিচিত করিয়েছে।

২০১৯ সালের ৪ জুলাই এ অফিস থেকে ডেলিভারির শর্তে বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে আসা কয়েক কার্টুন সিগারেট নিয়ে যায় কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট এর পটিয়া বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা। অফিস পণ্যের সঙ্গে মুসক চালান, মেমোসহ সব ডকুমেন্টও নেয় তারা ।

আড়াই বছরের মাথায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ওই পণ্যের ওপর সম্পুরক শুল্কো ও সারচার্জের সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে হবে এসএ পরিবহনকে। অথচ পণ্যের মেমোতে প্রেরক-প্রাপকের নাম ঠিকানা ও রেজিষ্টার্ড মোবাইল নম্বর থাকা সত্ত্বেও  তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাই করেনি ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। এমনকি সংশ্লিষ্ট মামলাতেও তাদেরকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। এতে বিষ্মিত আইনজীবীরা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই ধরণের ঘটনার দায় প্রেরক ও প্রাপকের ওপর বর্তায়। কিন্তু তাদের সন্ধান না করে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।

তবে এব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনার আকবর হোসেন। টানা তিন দিন তার অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।