আত্রাই নদীর সিংড়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:২১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও উজানের ঢলে উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলার মধ্যে রয়েছে নাটোর ও নওগাঁ। সবশেষ তথ্যমতে আত্রাই নদীর সিংড়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে ১২টি ওয়ার্ডের মানুষ। অন্যদিকে, নওগাঁয় তৃতীয় ধাপে বন্যার কবলে পড়েছে তিন উপজেলায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম। ডুবে গেছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ধান, সবজি ক্ষেত ও পুকুর। ত্রাণের অপেক্ষায় বানভাসিরা।
নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলায় তৃতীয়বারের মতো আঘাত এনেছে বন্যা। সিংড়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, দোকানপাটসহ বাড়ি- ঘরে পানি উঠেছে। ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে বানভাসিরা। তবে, সহযোগিতা না পাওয়ায় অভিযোগ করেছে, তারা। এদিকে, দু’টি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। শিগশিগই পানি না কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। এদিকে, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার নূরুল্লাবাদ এলাকায় আত্রাই নদীর বাঁধের এই অংশটি ভেঙ্গে যায় প্রায় দুই মাস আগে। কিন্তু, তা আর মেরামত না হওয়ায় ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকছে।
এরকম আরোও ছ’টি ভাঙ্গা পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ফলে জেলার মান্দা, আত্রাই ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আমনের মাঠ। পানির নিচে তলিয়ে আছে সবজি ক্ষেত আর বহু পুকুর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পানি উন্নয়নের বোর্ডের অবহেলার কারনেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। অবশ্য জেলা প্রশাসক দাবি করেন, বন্যার্তদের খুঁজে বের করে ত্রান দেয়া হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে টেকসই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে, এলাকাবাসী।