আজ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস
- আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
১৯ মার্চ ১৯৭১, জয়দেবপুর তথা বর্তমান গাজীপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়েছিল ছাত্র জনতা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের পর এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। সেদিন পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন অনেকে। তারপরই দেশব্যাপী শ্লোগান উঠেছিল “জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দিনটি জাতীয়ভাবে পালনের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের।
মুক্তিযোদ্ধের সময় গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী ছিল দ্বিতীয় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনানিবাস। মার্চের উত্তাল দিনে বাঙ্গালীদের আন্দোলন দুর্বল করার জন্য এখানকার দ্বিতীয় ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙ্গালী সৈন্যদের সুকৌশলে নিরস্ত্র করার জন্য অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদরদপ্তর কিন্তু মুক্তিকামী বাঙ্গালী সৈন্য ও কর্মকর্তারা অস্ত্র জমা না দিয়ে সময় কাটাতে থাকেন।
পাক বাহিনী বিগ্রেডিয়ার জাহানজেব ১৯ মার্চ ১ কোম্পানী পাঞ্জাবী সৈন্য নিয়ে জয়দেবপুরে আসছে এমন সংবাদে সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ছাত্র জনতা বিক্ষোদ্ধ হয়ে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।
পাক বাহিনী সেই ব্যারিকেড সরিয়ে রাজবাড়ীস্থ সেনানিবাসে গেলেও অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নেয়। তখন জয়দেবপুর রেল ক্রসিং ও চান্দনা চৌরাস্তায় তাদের বিরোদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছাত্র জনতা। এক পর্যায় পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন হুরমত, নিয়ামত, কানু মিয়া ও মনু খলিফা। আহত হয় অনেকে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের পর পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে এটাই ছিল মুক্তিযোদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ । দিনটি জাতীয়ভাবে পালনের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ । তবে দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাইলফলক উল্লখে করে গুরুত্ব দায়িত্ব পালনরে উদ্যোগ নয়োর আশ্বাস দলিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয় মন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসে ১৯শে র্মাচ জাতীয় জীবনে এক স্মরণীয় দিন। প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে সেইসব বীর শহীদদরে গৌরবগাঁথা সংরক্ষণ করে দিবসটি রাষ্ট্রীয় র্মযাদায় পালন করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা গাজীপুরবাসীর।