আজ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী
- আপডেট সময় : ১০:০১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন, ছিলেন আক্ষরিক অর্থে জীবন সঙ্গিনীও। বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনে রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। আজীবন তার স্বামীর আদর্শকে লালন করে গেছেন। তাই নিয়তিও যেন মৃত্যুক্ষণটি একদিনে একই সময়ে লিখেছিলো।
বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে অনুপ্রেরণাদায়ী ‘বিজয় লক্ষ্মী’ নারী হিসেবে এসেছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে , বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় রেণু।
১৯৩০ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে বাবা-মাকে হারানোর পর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেড়ে ওঠেন দাদা শেখ কাশেমের কাছে। মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন তার চাচি এবং পরবর্তীতে শাশুড়ি বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুন। পিতার অভাব বুঝতে দেননি বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফুর রহমান।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের সময় শক্ত হাতে যেমন সংসার সামলেছেন আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভরসার স্থলও ছিলেন তিনি। আন্দোলনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গবন্ধুকে নিরবে সহযোগিতা করেছেন আজীবন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৫ মার্চ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সন্তানদের সাথে অবরুদ্ধ ছিলেন এই সাহসী মা। শুধু তাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়টি মাস অসীম সাহস, দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য্য নিয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। অবসান ঘটে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার দীর্ঘ প্রতীক্ষার। এরপর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজেও বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়ান তিনি। অনেক বীরাঙ্গনাকে বিয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন জীবন দেন।
সহধর্মিণী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। আর সেটা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে।