আগামী ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
- আপডেট সময় : ০৪:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় কাল থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে জেলা টাস্কফোর্স। জেলেরাও নৌকা ও জাল ডাঙ্গায় উঠিয়ে মেরামত শুরু করছেন। নিষিদ্ধ এই সময়ে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জেলেরা। মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের খাদ্য সহায়তা এবার বাড়ানো হয়েছে।
পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার নিরাপদ ইলিশ প্রজনন এলাকা। ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ২২ দিন এই অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড এবং উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে, জাল ও নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে রাখছে জেলেরা।এই সময় কোনো মাছ ধরা হবে না। অভিযান কঠোর হলে, ভালো ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানান নদীপাড়ের জেলেরা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জেলেদেরকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
জেলেরা বলছেন, ২২ দিনের জন্য শুধু ২০ কেজি চাল দেয়া হয়। সরকারি সহয়তা আরো বাড়ানোর দাবি তাদের।
ইলিশ প্রজনন রক্ষায় ২২ দিন নৌ থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে। অসাধু জেলেরা যাতে নদীতে মাছ ধরতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর নৌ-পুলিশ।
মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিন নদীতে জাল ও নৌকা শূন্য দেখতে চায় প্রশাসন। জেলেদের খাদ্য সহায়তা ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ কেজি চাল দেয়া হবে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
কর্মসূচি সফল হলে, চলতি বছর সাড়ে ছয় হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছে ইলিশ গবেষকরা।