আকাশে শরতের সাদা মেঘ, জমিনে কাশফুলের বিছানা
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
আকাশে শরতের সাদা মেঘ, জমিনে কাশফুলের বিছানা। এ যেন সাদায় সাদায় মিতালী। এই দৃশ্য এখন কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের। প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্যে যে কারো মন হারিয়ে যেতে পারে। ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে যেতে প্রতিদিনই এসব চরে ভীড় করছে প্রকৃতিপ্রেমিরা। নিম্নবিত্ত্ব মানুষের কাছে রয়েছে এই কাশবনের আর্থিক গুরুত্ব।
দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার পর ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার, সোনাভরিসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরে কাশফুলের দৃশ্য এগুলি। জেগে উঠা বালুচরে প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা এসব কাশবনের সৌন্দর্য শুধু মানুষের মনের খোড়াকই জোগায় না। এগুলো হয়ে উঠেছে চরাঞ্চলের মানুষের রুটি-রুজিরও উৎস।
ধূ-ধূ বালুচরে বিনা খরচে পাওয়া এই কাশের খড় বিক্রি করেই চলছে কারো কারো সংসার। অন্যদিকে, শরতের স্বাক্ষী কাশফুলের দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে অনেক প্রকৃতিপ্রেমী। বন্যার মতো দুর্যোগের সময় গো-খাদ্যেরও অভাব মেটাতে ভুমিকা রাখে আপনা-আপনি বেড়ে উঠা এই কাশবন।
কাশবনের ওষুধি উপাদান, পাওয়ার প্লান্টের বর্জ পরিশোধন, লেখার কাগজ তৈরিসহ নানা গুনের কথা জানান, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান। কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের পতিত বালু জমির এই কাশবন শুধু সৌন্দর্য আর অর্থনীতিতেই অবদান রাখেনা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে।