০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে কর্ণফূলী নদীকে উদ্ধার করতে রায় বাস্তবায়ন শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীকে উদ্ধার করতে আদালতের রায় বাস্তবায়ন শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে লালদিয়ার চর থেকে এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অন্যান্য এলাকার মালিকানা তাদের নয় দাবি করে আপাতত সেসব এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের দাবি, আইনগতভাবে কর্ণফূলী নদীকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বন্দরের।

দখল ও দুষণে সংকুচিত হয়ে পড়া কর্ণফূলী নদীকে রক্ষার দাবি দীর্ঘদিনের। সবশেষ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সদরঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। ৫ দিনের মাথায় তহবিল সংকট ও আইনগত জটিলতার অজুহাতে বন্দরের ওপর দায় চাপিয়ে নদী বাচানোর সেই অভিযান বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।

এরই মধ্যে কর্ণফূলীর মোহনা থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ১৮৭ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় নদী কমিশন। এসব দখলদারদের উচ্ছেদে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে সময় বেধে দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিন গড়িমসির পর গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি লালদিয়ার চর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনগতভাবে বাংলাদেশে শুধুমাত্র কর্ণফূলী নদীর মালিকানা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। তাই পুরো নদীটির দখল দুষণ রোধের দায়িত্বও তাদের। এখানে একে অন্যের কাঁধে দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই একেবারেই। আর পরিবেশকর্মীরা বলছেন, লালদিয়ার চরে নতুন একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বন্দরের। তাই আদালতের রায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নদী রক্ষার নামে নিজেদের স্বার্থই হাসিল করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে নদীর কোন লাভ হয়নি।

নদী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীদের মতে, কর্ণফূলীকে রক্ষা করতে গেলে কালুরঘাট ব্রীজ থেকে সাগরের মোহনা পর্যন্ত নদীর দুপারে অবস্থিত সব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে একসঙ্গে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে বন্দরকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে কর্ণফূলী নদীকে উদ্ধার করতে রায় বাস্তবায়ন শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১

অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীকে উদ্ধার করতে আদালতের রায় বাস্তবায়ন শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে লালদিয়ার চর থেকে এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অন্যান্য এলাকার মালিকানা তাদের নয় দাবি করে আপাতত সেসব এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের দাবি, আইনগতভাবে কর্ণফূলী নদীকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বন্দরের।

দখল ও দুষণে সংকুচিত হয়ে পড়া কর্ণফূলী নদীকে রক্ষার দাবি দীর্ঘদিনের। সবশেষ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সদরঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। ৫ দিনের মাথায় তহবিল সংকট ও আইনগত জটিলতার অজুহাতে বন্দরের ওপর দায় চাপিয়ে নদী বাচানোর সেই অভিযান বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।

এরই মধ্যে কর্ণফূলীর মোহনা থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ১৮৭ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় নদী কমিশন। এসব দখলদারদের উচ্ছেদে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে সময় বেধে দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিন গড়িমসির পর গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি লালদিয়ার চর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনগতভাবে বাংলাদেশে শুধুমাত্র কর্ণফূলী নদীর মালিকানা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। তাই পুরো নদীটির দখল দুষণ রোধের দায়িত্বও তাদের। এখানে একে অন্যের কাঁধে দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই একেবারেই। আর পরিবেশকর্মীরা বলছেন, লালদিয়ার চরে নতুন একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বন্দরের। তাই আদালতের রায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নদী রক্ষার নামে নিজেদের স্বার্থই হাসিল করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে নদীর কোন লাভ হয়নি।

নদী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীদের মতে, কর্ণফূলীকে রক্ষা করতে গেলে কালুরঘাট ব্রীজ থেকে সাগরের মোহনা পর্যন্ত নদীর দুপারে অবস্থিত সব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে একসঙ্গে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে বন্দরকে।