অনাবৃষ্টি, নদীর গতিপথ পরিবর্তনে কমছে নদীতে ইলিশের বিচরণ। মৌসুমের ৩ মাসেও কাঙ্খিত ইলিশ আমদানি হয়নি বরিশাল মোকামে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেড়েছে দাম। ব্যবসায়ীরা হতাশ। কর্মকর্তা বলছেন, সামনের জোতে ইলিশ বৃদ্ধি পাবে। দামও ক্রেতাদের নাগালের ভেতরে থাকবে।

বরিশালের সবচাইতে বড় ইলিশের পাইকারি মোকাম পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। ৩০ বছর ধরে ইলিশ মাছের ব্যবসা করছেন। তার এই দীর্ঘ ব্যবসা জীবনে ইলিশের এতো কম দাম দেখেননি। তার ধারণা ইলিশ মাছ কমে যাওয়ায় দামটা বেশি হয়েছে।

বাজারে মাছ ক্রেতা প্রিয়াঙ্কা হালদার। বাজার ঘুরে ইলিশের দাম করছেন। কিন্তু মনের মতো করে কিনতে পারছেন না। এক অবস্থা মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধিকাংশ ক্রেতার।

অন্য বছরের মতো গেলো ৩ মাসে বরিশালের অন্যতম বৃহৎ মোকামে দেখা মেলেনি কাঙ্খিত ইলিশের। এই মৌসুমে ৫ থেকে ৬ শত মণ ইলিশ ধরা পড়লেও এখন আমদানি হচ্ছে প্রতিদিন ১শ’ মন ইলিশ। জোয়ারে সাগরে মাছ ধরা পড়লে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এবছর পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ার পেছনে রয়েছে বৃষ্টি না হওয়া, সময় মতো ডিম না আসা এবং গতিপথ পরিবর্তনকে দুষছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

বরিশালে প্রতি কেজি সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৯’শ; ১কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ১৬শ; এবং এলসি ১১’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর ৪৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে মৎস্য অধিদপ্তর।