অতি বৃষ্টি না থাকায় কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন নদীর পানি
- আপডেট সময় : ০১:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
অতি বৃষ্টি না থাকায় কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট,মানিকগঞ্জ ও জামালপুরের বিভিন্ন নদীর পানি। ফলে ঐ এলাকায় তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙ্গন। এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে পড়েছে বসতভিটাসহ বহুস্থাপনা।
কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফা বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে সাথে সাথে তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙ্গন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছে ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার নদের অন্তত: ২০টি পয়েন্টে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন কবলিত ১৬ টি পয়েন্টে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। এদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
টানা ১২ দিন ধরে বাড়লে এখন কমতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি। পানি কমতে থাকলেও অন্যদিকে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। তবে নদীর দুটি পয়েন্টের একটিতে এখনো পানি বইছে বিপদসীমার ওপরে।
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নদী ভাঙন নতুন করে শুরু হয়েছে। নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারন করেছে। বর্তমানে তিস্তার ভাঙ্গনে সবচে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ও আদিতমারী
উপজেলার মহিশখোচা ইউনিয়ন।
মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। যমুনার নদীর জেলার আরিচা পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধিতে কৃষকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ৩ দিনে ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন।
এদিকে, বন্যায় নদীভাঙন কবলিত জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার উত্তরের জেলা চর আমখাওয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে।