৪৪ বছরের পুরনো পাম্প মেশিন নিয়ে চলছে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প। এতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প। সময়মতো পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা। একাধিকবার বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হলেও মিলছে না নতুন পাম্প মেশিন।
চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৬ উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যম এ সেচ প্রকল্প। ৪৪ বছর পার হলেও প্রকল্পের ১ হাজার ২শ’ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন চর-বাগাদী পাম্পিং প্লান্ট এর পাম্প মেশিনগুলো পরবর্তন হয়নি। সেচ মৌসুমে চাহিদার আলোকে পাম্পগুলো পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক।
চর-বাগাদী পাম্পিং প্লান্টে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬টি পাম্পই চালু রাখতে হয়। কিন্তু মেশিনগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় গড়ে মাত্র ১৫ ঘন্টা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্লান্টের ৬টি পাম্পের বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল পরিদর্শন করেন। পরে এ বিষয়ে তারা লিখিত পরামর্শদেন।
প্রকল্প এলাকার হাজার হাজার কৃষকের ফসল উৎপাদনে পানি সেচের জন্য মেশিনগুলো ২৪ ঘন্টা সচল রাখা প্রয়োজন।