৩৫৯ কোটি টাকা হাতিয়া নেয়ার অপচেষ্টা করলো ডা. দীপু মনির গংরা
- আপডেট সময় : ১১:৫২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৬৩১ বার পড়া হয়েছে
৩৫৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ায় গেলো সাড়ে চার বছরেও নিজস্ব ক্যাম্পাস পায়নি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অস্থায়ী ছোট্ট একটা ভবনে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এ জন্যে গেলো সরকারে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার ঘনিষ্ঠজনদের দুর্নীতি আর পুকুর চুরিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
চাদপুর শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রয়োজনীয় ৬২ একর জমির মধ্যে ৫৫ একরের বেশি জমি কিনে নেয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের মোঃ সেলিম খান, দীপু মনির বড় ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ মন্ত্রীর কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন। উচ্চ মূল্য দেখিয়ে কৌশলে দলিল করে নেয় চক্রটি। যা আমলে নিলে সরকারকে ১৯৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫৫৩ কোটি টাকা দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হতো।
চাঁদপুর তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। এতে নাখোশ হন মন্ত্রী ও তার অনুসারীরা। অতিরিক্ত ৩৫৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে হাইকোর্টে রিটও করা হয়। ভিত্তিহীন রিট দায়ের করে আদালতের সময় নষ্ট করার দায়ে সেলিম খানসহ তার দুই সহযোগীকে কোটি টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। এমন অপকর্মের জন্যই থমকে যায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্যে জমি অধিগ্রহণ।
স্থায়ী অবকাঠামো তৈরী না হওয়া ২০২৩ সালে শহরের খলিশাডুলি এলাকায় ছোট্ট একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে তিন বিভাগে দুই ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮০ জন। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
দ্রুত বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্যে জমি অধিগ্রহনের দাবী চাঁদপুরের নাগরিক কমিটির ।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান, বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহত হয়। আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও দলটির যগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিও গেফতার হন। যার ফলে বাতিল হওয়ার দীর্ঘ ১০ মাস পর জানা যায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে-না।
নতুন স্থানে বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্যে দ্রুত জমি অধিগ্রহন করার দাবী জেলাবাসীর।