০৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

২৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুরনো ৩২টির সঙ্গে এবার আরো ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নানামুখি দৌঁড়ঝাঁপ এমনকি আদালতের দারস্ত হয়েও নতুন এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে পারেনি পুরনো অপারেটররা। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবসায় প্রতিযোগীতা ও গতি বাড়ানোর পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কারসাজি ভাঙতেই নতুন অপারেটর নিয়োগ। আর শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন বলছে, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন অপারেটর প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বন্দরের কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যে পরিমান পণ্য আমদানী করা হয়, তার অন্তত ৭০ শতাংশই বহি:নোঙ্গরে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাস করে ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান। ৫ বছর পর পর টেন্ডারে নতুন প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত করার নিয়ম থাকলেও, ২০১৫ সালের পর আর হয়নি তা।

৮ বছর পর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে এবার একসঙ্গে আরো ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। কর্তৃপক্ষের দাবি অপারেশনে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি গভীর সাগরে মনোপোলী ঠেকাতে এমন উদ্যোগ।

তবে শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটররা বলছেন, আইনের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যারা মোটা অংকের কমিশনে, বড় বড় শিল্প গ্রুপের কাছে লাইসেন্স ভাড়া দেয়ার দেনদরবার শুরু করেছে। ফুটেজ-২ এটা বাস্তবায়িত হবে বহিনোঙ্গোরে পণ্য খালাস বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় হুমকির মুখে পড়বে।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলার সংকটের দিনগুলো বাদ দিলে প্রতি বছর আমদানী রপ্তানীতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১০ শতাংশের বেশি। সেই বাস্তবতায় নতুন শিপ বা বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের বিকল্প নেই

জেটিতে কন্টেইনার ও বহি:নোঙ্গোরের বাল্ক জাহাজ থেকে খোলা পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিতে বার্থ অপারেটর আর সাগরে পণ্য খালাসে সহযোগীতা করে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা। তবে দুই ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

পুরনো ৩২টির সঙ্গে এবার আরো ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের লাইসেন্স দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নানামুখি দৌঁড়ঝাঁপ এমনকি আদালতের দারস্ত হয়েও নতুন এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে পারেনি পুরনো অপারেটররা। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবসায় প্রতিযোগীতা ও গতি বাড়ানোর পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কারসাজি ভাঙতেই নতুন অপারেটর নিয়োগ। আর শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন বলছে, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন অপারেটর প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বন্দরের কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যে পরিমান পণ্য আমদানী করা হয়, তার অন্তত ৭০ শতাংশই বহি:নোঙ্গরে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাস করে ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান। ৫ বছর পর পর টেন্ডারে নতুন প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত করার নিয়ম থাকলেও, ২০১৫ সালের পর আর হয়নি তা।

৮ বছর পর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে এবার একসঙ্গে আরো ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। কর্তৃপক্ষের দাবি অপারেশনে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি গভীর সাগরে মনোপোলী ঠেকাতে এমন উদ্যোগ।

তবে শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটররা বলছেন, আইনের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যারা মোটা অংকের কমিশনে, বড় বড় শিল্প গ্রুপের কাছে লাইসেন্স ভাড়া দেয়ার দেনদরবার শুরু করেছে। ফুটেজ-২ এটা বাস্তবায়িত হবে বহিনোঙ্গোরে পণ্য খালাস বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় হুমকির মুখে পড়বে।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলার সংকটের দিনগুলো বাদ দিলে প্রতি বছর আমদানী রপ্তানীতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১০ শতাংশের বেশি। সেই বাস্তবতায় নতুন শিপ বা বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের বিকল্প নেই

জেটিতে কন্টেইনার ও বহি:নোঙ্গোরের বাল্ক জাহাজ থেকে খোলা পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিতে বার্থ অপারেটর আর সাগরে পণ্য খালাসে সহযোগীতা করে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা। তবে দুই ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।