১৭ বছর ধরে টেলিভিশনের বিশ্ববাজারে শীর্ষ ব্র্যান্ড স্যামসাং!
- আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাজার গবেষণা সংস্থা ওমডিয়া’র জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে গোটা বিশ্বের টেলিভিশন বাজারে শীর্ষস্থানে ছিলো দক্ষিণ-কোরীয় ব্র্যান্ড স্যামসাং। এর মাধ্যমে ১৭ বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই বছরগুলোতে স্যামসাং সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে তাদের ডিসপ্লে’র ওপর। বস্তুত, নিজেদের প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট লাইনআপকে অগ্রাধিকার দেয় স্যামসাং। যার উদাহরণ ব্র্যান্ডটির নিও কিউএলইডি লাইনআপ।
২০০৬ সালে স্যামসাংয়ের ‘বোর্দো’ টিভির হাত ধরে সর্বপ্রথম আধুনিক ডিজাইন এবং হালকা-ওজনের এলসিডি টিভি দেশের বাজারে আসে। সে বছরই স্যামসাং প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন বাজারে এক নম্বর স্থানটি অর্জন করে। একইভাবে ২০০৯ সালে প্রথম এলইডি টিভি এবং ২০১১ সালে প্রথম স্মার্ট টিভি নিয়ে আসে স্যামসাং।
এরপর ২০১৭ সালে স্যামসাং সর্বপ্রথম নিয়ে আসে কিউএলইডি টিভি। যা রীতিমতো টিভি’র বাজারে ‘নেক্সট-জেন’ অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মের ডিসপ্লে’কে সংজ্ঞায়িত করে। এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে এই শিল্পের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শতভাগ কালার ভলিউম অর্জন সম্ভব হয়। এরই ক্রমধারায় ২০১৮ সালে ব্র্যান্ডটি কিউএলইডি এইটকে, কোয়ান্টাম মিনি এলইডি-ব্যাকড নিও কিউএলইডি এবং ২০২১ সালে সেলফ-ইল্যুমিনেটিং মাইক্রো এলইডি প্রযুক্তির সংযোজন করে গোটা শিল্পখাতে তাক লাগিয়ে দেয়।
সেইসাথে, লাইফস্টাইল সিরিজের মতো নতুন ক্যাটাগরি নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের কৌশল ও সাফল্য নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। ২০১৬ সালে এসেছে অনবদ্য নকশার ‘দ্য সেরিফ’ ও ‘দ্য ফ্রেম’ -এর মতো লাইফস্টাইল টেলিভিশন। যুগান্তকারী স্ক্রিনিং টেকনোলজি ও দুর্দান্ত গ্রাহকসেবার কারণে অন্য অনেক অর্জনের পাশাপাশি ২০২২ সালে স্থানীয় পর্যায়ে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও পায় স্যামসাং। আর এবারে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেরা টিভি ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডিরেক্টর এবং হেড অব বিজনেস, স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাধুনিক এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রিমিয়াম মডেলের টেলিভিশন তৈরি করে আসছে স্যামসাং। এই প্রচেষ্টায় টানা ১৭তম বছরের মত শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত এবং রোমাঞ্চিত। গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে এভাবেই আরো বেশি আনন্দদায়ক করে রাখতে ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব”।