হার দিয়েই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচনা করলো বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে টাইগাররা। টি-২০ ইতিহাসে সাকিবের সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপ্তির দিনে বাংলাদেশের হার ৬ রানে। স্কটিশদের দেয়া ১৪১ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানে। তার আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় স্কটল্যান্ড। মাহেদি ৩টি সাকিব ও মোস্তাফিজ নেন দুটি করে উইকেট।
মরুর বুকে এমন হারের দায় এড়াবে কে? চ্যালেঞ্জিং পুঁজিতে সিনিয়র ও জুনিয়রদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্বকাপে হার। প্রশ্ন রয়ে যায় নিজেদের চেনা উইকেটে সাফল্যে পাওয়া বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে সত্যিই রংহীন নিস্ফলা।
অথচ স্বপ্নের বিশ্বকাপে শুরুটা বাংলাদেশের। যদিও আক্ষেপ ছিলো পাওয়ার প্লেতে সাকিবের ক্যাচ মিসে। তারপরও পাওয়ার প্লেতে তারা তুলেছিল ১ উইকেটে ৩৯ রান। উইকেট প্রাপ্তি শুধু সাইফউদ্দিনের।
মানসে আর ক্রসের ছুটি ভাঙ্গলেন শেখ মাহেদী। ফেরালেন ক্রসকে। এরপর মানসেও ফিরলেন সেই মাহেদীর বলে।
এরপর সাফল্যের মিছিলে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। একই ওভারে ফেরান দুই স্কটিশ ব্যাটারকে। এতে লাসিথ মালিঙ্গাকে টপকে ১০৮ উইকেট নিয়ে টি টুয়েন্টিতে শীর্ষ উইকেট শিকারী বোলার এখন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে তিন ফরমেট মিলে ৬০০ উইকেট আর ১২ হাজার রানের মালিকও এখন সুপার সাকিব।
ম্যাচের মোমেন্টাম ফিরে পাওয়া বাংলাদেশকে কিছুটা ভুগিয়েছে ক্রিস গ্রীভস। তার ৪৫ রানে স্কটল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪০ রানে। মাহেদী তিনটি, সাকিব ও মুস্তাফিজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পুরনো চেহারায় সৌম্য সরকার। হতাশ করেছেন লিটন দাসও। দলীয় ১৮-তে নাই দুই উইকেট।।
আশা জাগিয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান তবে মাইলফলকের দিনে উদাহরণ হতে পারেননি। একই পথের পথিক মুশফিকুর রহিম। সেট হয়েও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। বিফলে গেছে আফিফ মাহমুদউল্লাহ মাহেদিদের চেস্টা। শেষ পাঁচ ওভার মেলাতে পারেনি ৫৪ রানের সমীকরন। টাইগারদের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ১৩৪-শে।