সীতাকুণ্ডের বিএম গেইট কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো চট্টগ্রামবাসী। মাঝ রাতে কেউ এসেছে খাবার ও পানি নিয়ে, কেউ ওষুধ কেউবা নিজের রক্ত দিতে ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যান্য হাসপাতালের চিকিতসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও নার্সরাও এসেছেন আহতদের পাশে দাড়াতে। ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সেচ্ছা সেবীরাও উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছেন রাতভর।
এম্বুলেন্স, সিএনজি অটোরিক্সা কিম্বা পুলিশের গাড়িতে আনা হচ্ছে বিএমগেইট কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের। ইমার্জেন্সী থেকে কাউকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বর্ন ইউনিটে আবার কাউকে অর্থপেডিকস ওয়ার্ডে। রাত ১২ টার আগেই বার্ন ইউনিটের ধারণক্ষমতা উপচে পড়ায় পাশের গাইনী ওয়ার্ডকে প্রস্তুত করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালায় চমেক কর্তৃপক্ষ।
রোগীর চাপ সামাল দিতে না পেরে বেসরকারী হাসপাতালের চিকিতসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। গভির রাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিপুল সংখ্যক চিকিতসক ও শিক্ষার্থী।
হাজারো মানুষ ভিড় করেন হাসপাতালের ভেতরে বাইরে। রোগী ও স্বজনদের জন্য কেউ এনেছেন খাবার, কেউ পানি আবার রক্ত দিতেও ছুটে এসেছেন অনেকে।
ভিড়ের কারনে আহতদের চিকিতসা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য ততপর ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর কর্মীরা।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরাও ছুটে আসেন হাসপাতালে।
চিকিতসকরা বলছেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই দগ্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ অগ্নিকাণ্ডের এলাকা থেকে বের হতে গিয়ে পড়ে আহতও হয়েছেন। তবে দগ্ধ রোগীদের অবস্থা গুরুতর।