স্টোর রেন্ট মওকুফ সুবিধা বাতিল করেছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০১:১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
করোনাকালে জট নিরসনে কন্টেইনার খালাসের ক্ষেত্রে স্টোর রেন্ট মওকুফ সুবিধা বাতিল করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। তাদের দাবি- ভাড়া মওকুফ করায় আমদানীকারকরা বন্দরকে গুদাম হিসেবে অপব্যবহার করছে। তবে বন্দরের এই ব্যাখ্যা অস্বীকার করে স্টোর-রেন্ট মওকুফের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বার। আর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন বলছে, অঘোষিত লকডাউন চলাকালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে না পারায়, জট বেঁধেছে বন্দরে।
৫০ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে সোমবার কন্টেইনার ছিলো ৫১ হাজার। বন্দরের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন তিন হাজারের বেশী কন্টেইনার ওঠানামা করলেও ডেলিভারি হচ্ছে মাত্র ৭/৮ শো। ফলে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশী কন্টেইনার জমছে বন্দরের ভেতর।
এই বাস্তবতায় বন্দরকে খালি করতে গেলো ৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কন্টেইনার ডেলিভারির ক্ষেত্রে ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দেয় হয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমদানীকারকরা সুযোগের অপব্যবহার করায় আগের নিয়মে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
নিয়মানুযায়ী কন্টেইনার খালাসের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ভাড়া বৃদ্ধি; চতুর্থ সপ্তায় গিয়ে পেনাল্টি আর মাস পেরোলে নিলামে তোলার মতো কঠোর হওয়ার এখতিয়ার আছে বন্দরের। কিন্তু দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের।
আর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, বন্দর, কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট, ব্যাংক, ল্যাব, আমদানীকারকসহ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অন্তত ১২ টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অপারেশন চলে চট্টগ্রাম বন্দরের। কিন্তু অঘোষিত লকডাউনে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি সচল না থাকায় তৈরী হয়েছে অচলাবস্থা।
জমে যাওয়া কন্টেইনার অফডকে স্থানান্তরের অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এ আবেদন করেছিলো চট্টগ্রাম বন্দর। তাতে সাড়া না পেয়ে বিপাকে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।