০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক প্রকাশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একজন সাহসী কলম যোদ্ধা ও ন্যায়নীতির বাতিঘর হিসেবে আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে এমন মূল্যায়ন তুলে ধরলেন রাজনীতিক, সাংবাদিক ও পেশাজীবীসহ বিশিষ্টজনরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তৃতীয় জানাজাশেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নিয়ে তাঁর কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা। সততা ও নীতির প্রশ্নে আপোষহীন এই কলামিস্টের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪৬ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সৈয়দ আবুল মকসুদ। সাংবাদিক হিসেবে তিনি তার গবেষণাধর্মী লেখনীর জন্য খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন। যেখানে থাকতো দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা। ১৯৯৫ সালে বাংলাসাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন প্রথিতযশা এই কলম সৈনিক। শুধু কলম দিয়েই নয়, পোশাকের মাধ্যমেও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেও আমৃত্যু সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ।

মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যায় মারা যান প্রথিতযশা সাংবাদিক, গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

বুধবার দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। এসময় সেখানে জানাযার পর ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ দোয়া চান সবার কাছে।

জানাজাশেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত এই সাংবাদিকের কফিনে।

সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবনের মূল্যায়ন তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা।

প্রেসক্লাব থেকে সর্বস্তরের মানুষ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

মৌন আবেগে চলে শ্রদ্ধা জানাবার আনুষ্ঠানিকতা। তাঁর সাহসী লেখনী নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের প্রতিবাদে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেন সবাই।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনশেষে সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বুদ্ধিজীবীকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

একজন সাহসী কলম যোদ্ধা ও ন্যায়নীতির বাতিঘর হিসেবে আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে এমন মূল্যায়ন তুলে ধরলেন রাজনীতিক, সাংবাদিক ও পেশাজীবীসহ বিশিষ্টজনরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তৃতীয় জানাজাশেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নিয়ে তাঁর কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা। সততা ও নীতির প্রশ্নে আপোষহীন এই কলামিস্টের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪৬ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সৈয়দ আবুল মকসুদ। সাংবাদিক হিসেবে তিনি তার গবেষণাধর্মী লেখনীর জন্য খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন। যেখানে থাকতো দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা। ১৯৯৫ সালে বাংলাসাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন প্রথিতযশা এই কলম সৈনিক। শুধু কলম দিয়েই নয়, পোশাকের মাধ্যমেও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেও আমৃত্যু সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ।

মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যায় মারা যান প্রথিতযশা সাংবাদিক, গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

বুধবার দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। এসময় সেখানে জানাযার পর ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ দোয়া চান সবার কাছে।

জানাজাশেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত এই সাংবাদিকের কফিনে।

সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবনের মূল্যায়ন তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা।

প্রেসক্লাব থেকে সর্বস্তরের মানুষ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

মৌন আবেগে চলে শ্রদ্ধা জানাবার আনুষ্ঠানিকতা। তাঁর সাহসী লেখনী নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের প্রতিবাদে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেন সবাই।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনশেষে সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বুদ্ধিজীবীকে।