০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে প্রায় ছয় দশক পার করেছেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন এই প্রবীণ আইনজীবী। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে রফিক-উল হক সততা, নিষ্ঠা ও সমতার পরিচয় দিয়েছেন। কখনো তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল বিবেচনায় নেননি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দক্ষতার সঙ্গে প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন তিনি। সততা, নিষ্ঠা ও সমতার পরিচয়ে অনন্য আইনজীবী হিসেবে রফিক-উল হক। কখনোই তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল বিবেচনায় নেননি।

১৯৬০ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। এরপর ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। সেখান থেকে ফিরে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনবছর পর। মামলায় লড়াইয়ের অনুমতি পান ১৯৭৩ সালে। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। বিভিন্ন মামলায় বিচারকরাও তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন রফিক-উল হক। কিন্তু কোনো সম্মানি নেননি।

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। পেশাগত জীবনে রাজনীতি না করলেও রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। ২০০৭-০৮ এ ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক মামলায় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। ওয়ান ইলেভেন সরকারের বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করেন তিনি। সেসময় একইসঙ্গে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন। আটক অন্যান্য রাজনীতিকের হয়েও সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেন রফিক উল হক।

ব্যক্তি হিসেবেও ব্যারিষ্টার রফিকুল হক ছিলেন অত্যন্ত সদয় ও স্নেহপরায়ণ। একজন স্পষ্টভাষী ও সাহসী মানুষ হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ৬০ বছর কর্মজীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তুলেছেন কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান। বর্ষীয়ান এই আইনজীবীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২র নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করে আইনপেশায় যোগ দেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে প্রায় ছয় দশক পার করেছেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন এই প্রবীণ আইনজীবী। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে রফিক-উল হক সততা, নিষ্ঠা ও সমতার পরিচয় দিয়েছেন। কখনো তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল বিবেচনায় নেননি।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দক্ষতার সঙ্গে প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন তিনি। সততা, নিষ্ঠা ও সমতার পরিচয়ে অনন্য আইনজীবী হিসেবে রফিক-উল হক। কখনোই তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল বিবেচনায় নেননি।

১৯৬০ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। এরপর ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। সেখান থেকে ফিরে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনবছর পর। মামলায় লড়াইয়ের অনুমতি পান ১৯৭৩ সালে। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। বিভিন্ন মামলায় বিচারকরাও তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন রফিক-উল হক। কিন্তু কোনো সম্মানি নেননি।

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। পেশাগত জীবনে রাজনীতি না করলেও রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। ২০০৭-০৮ এ ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক মামলায় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। ওয়ান ইলেভেন সরকারের বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করেন তিনি। সেসময় একইসঙ্গে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন। আটক অন্যান্য রাজনীতিকের হয়েও সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেন রফিক উল হক।

ব্যক্তি হিসেবেও ব্যারিষ্টার রফিকুল হক ছিলেন অত্যন্ত সদয় ও স্নেহপরায়ণ। একজন স্পষ্টভাষী ও সাহসী মানুষ হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ৬০ বছর কর্মজীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তুলেছেন কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান। বর্ষীয়ান এই আইনজীবীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২র নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করে আইনপেশায় যোগ দেন।