সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্তদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি সবার। অন্যদিকে, যশোরে বিশেষ করে অভয়নগর উপজেলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।
মেডিসিন বিভাগের ৪টি ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪৮ জন রোগীর প্রত্যেককে মশারী দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা জানান, পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ার কথা। ডেঙ্গু রোগী এবং অন্য রোগীদের একসঙ্গে রাখায় আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা স্থানে রেখে চিকিৎসা দাবি করেন।
প্ল্যাটিলেট কনসেনট্রেটের ব্যবস্থা না থাকায় অবস্থা সংকটাপন্ন রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে হয়।
সট- সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম খান, প্রধান, মেডিসিন ইউনিট-৪, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।
ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট এবং প্ল্যাটিলেট কনসেনট্রেটর দাবি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
যশোরে গত আড়াই মাসে ৩৭৮ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে কেবল অভয়নগরের ২৯১ জন। যাদের অধিকাংশই জেলা ও উপজেলার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, মশা নিধনে পৌরসভা ও ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ।
এদিকে- স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা।
সিভিলে সার্জন অফিসের তথ্য মতে, বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৭জন ডেঙ্গু রোগী।