দেশের রেলক্রসিংগুলো একেকটি মৃত্যুফাঁদ। অধিকাংশ রেলক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান, সিগন্যাল লাইট, বেল। বুয়েটের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ হাদিউজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক সব দুর্ঘটনা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার বড় প্রমাণ। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং সিগন্যাল ব্যবস্থার অটোমেশনে জোর দেন তিনি। এদিকে গেটম্যানরা বলছেন, ট্রেন আসার আগাম খবর মিলছে না বলেই কিছুতেই থামছে না লেভেল ক্রসিংয়ে মৃত্যুর মিছিল।
নিরাপদ ভ্রমণের তকমা-হারাতে বসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একের পর এক দুর্ঘটনাও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেল ক্রসিং অতিক্রমের সময় ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ শিক্ষার্থী শিক্ষক মারা যান । গেলো ১০ দিনে সারাদেশে রেলক্রসিংয়ে প্রাণ হারায় ২১ জন। বারবার দুর্ঘটনার পরও নির্বিকার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলক্রসিংয়ের অধিকাংশ সিগন্যাল লাইট ও বেল অচল। মেলে না ট্রেন আসার আগাম খবর, জানালেন গেটম্যানরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও রেল ক্রসিংয়ের মতো ছোট ও স্পর্শ কাতর বিষয়গুলো নজরে নেই কর্তৃপক্ষের।
অনভিজ্ঞ লোকদের গেটম্যান নিয়োগ দেয়ায় মাশুল গুণতে হয় সাধারণ মানুষকে। সিগন্যাল ব্যবস্থা অটোমেশনের পরামর্শ দেন তিনি।
রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ক্রসিং পারাপারের সময় জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।